1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

রাশিয়ার অধিকৃত এলাকায় ইউক্রেনের হামলা

১৩ জুলাই ২০২২

খেরসন অঞ্চলে পাল্টা আক্রমণ ইউক্রেনের সেনার। ইউক্রেনের দাবি, অন্তত ৫০ জন রাশিয়ার সেনা মারা গেছে। রাশিয়া বলেছে, ছয়জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4E3BH
ইউক্রেনের দাবি, তারা খেরসনে রাশিয়ার প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের দাবি, তারা খেরসনে রাশিয়ার প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করেছে। ছবি: picture alliance/dpa/TASS

খেরসন এখন রাশিয়ার দখলে। সেখানেই হামলা করেছে ইউক্রেনের সেনা। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের আক্রমণে রাশিয়ার কামান, অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবরুদ ধ্বংস হয়েছে। আর মারা গেছেন ৫০ জন রাশিয়ার সেনা।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদসংস্থা তাস জানিয়েছে, এই হামলায় ছয়জন বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। তারপর থেকে দুই দেশই বেসামরিক মানুষদের মৃত্যুর জন্য একে অপরকে দায়ী করছে।

ইউক্রেনের অভিযোগ, মিকোলাইভে রাশিয়ার গোলার আঘাতে ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া রাশিয়ার রকেট এসে শহরের চিকিৎসাকেন্দ্র ও বাড়ির উপর আছড়ে পড়েছে।

অ্যামেরিকার বাড়তি সাহায্য

অ্যামেরিকা জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে ১৭০ কোটি ডলারের বাড়তি আর্থিক সাহায্য করবে। এই অর্থ দিয়ে ইউক্রেন স্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বেতন দিতে পারবে।

রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বর্তমান অর্থসাহায্য তারই অঙ্গ। গত মে মাসে বাইডেন ইউক্রেনকে ৭৫০ কোটি ডলার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

জার্মান ও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথা

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রেজনিকভ জানিয়েছেন, তিনি জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো ও ব্যবহার নিয়ে তাদের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জার্মানির কাছ থেকে তারা শীঘ্রই ভালো খবর শুনতে পাবেন বলে আশা করছেন।

খাদ্যশস্য নিয়ে আলোচনা

তুরস্কের উদ্যোগে বুধবার ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসবেন ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্কের সেনা প্রতিনিধিদল। সঙ্গে থাকবেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। কৃষ্ণসাগর থেকে জাতিসংঘের করিডোর দিয়ে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্যভর্তি জাহাজ যাতে আসতে পারে, তা নিয়েই কথা হবে। জাতিসংঘের মহাসচিব অবশ্য বলেছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গেলে এখনো অনেকটা পথ হাঁটতে হবে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)