1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

খাদ্যশস্য: পুটিন, জেলেনস্কির সঙ্গে এর্দোয়ানের কথা

১২ জুলাই ২০২২

ইউক্রেন থেকে যাতে খাদ্যশস্য আনা যায়, তার জন্য পুটিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বললেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান।

https://p.dw.com/p/4Dyyr
ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য় না আসায় বিপাকে পড়েছে ইউরোপ ও আফ্রিকা।
ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য় না আসায় বিপাকে পড়েছে ইউরোপ ও আফ্রিকা। ছবি: Lyashonok Nina/Ukrinform/ABACA/picture alliance

রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আসছে না। কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দর থেকে যে পথে জাহাজ বেরোবে, সেখানে রাশিয়া মাইন পেতে রেখেছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ। তাদের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেন থেকে কোনো পণ্যবাহী জাহাজকে বাইরে আসতে দিচ্ছে না। এর ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলি।

এই পরিস্থিতিতে এর্দোয়ান নতুন করে খাদ্যশস্য আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে, জাহাজে ভরা খাদ্যশস্য বাইরে আনার জন্য প্রয়াসী হয়েছেন। এর্দোয়ানের প্রস্তাব হলো, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দর থেকে খাদ্যশষস্য ভর্তি জাহাজ বাইরে আসার জন্য জাতিসংঘ একটি করিডোর ঠিক করে দেবে। সেখানে কোনো মাইন থাকবে না বা রাশিয়া সেই জাহাজ চলাচলে কোনো বাধা দেবে না।

ক্রেমলিন একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, এর্দোয়ান ও পুটিনের মধ্যে খাদ্যশস্য বাইরে যাতে যেতে পারে তা নিয়ে কথা হয়েছে।

জেলেনস্কি টুইট করে এর্দোয়ানকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের খাদ্যশস্য চুরি করছে। রাশিয়াকে এই কাজ বন্ধ করতে হবে।

ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম বড় খাদ্যশস্য উৎপাদক। কিন্তু রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে তারা আর খাদ্যশস্য বাইরে পাঠাতে পারছে না। এর ফলে ইউরোপ ও আফ্রিকায় খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। দাম অনেক বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে খাদ্যসুরক্ষা দেয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ইউক্রেনের খাদ্যপণ্য রপ্তানিতে রোমানিয়ার সাহায্যের হাত

জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই সেফ করিডোরের কথা বলেছে। কিন্তু তাতে মস্কো ও কিয়েভের সম্পূর্ণ সমর্থন এখনো পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেন ইউরোপের অন্য দেশের সঙ্গে ১২টি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে খাদ্যশস্য পাঠানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সংবাদসংস্থা এপি-কে ইউত্রেন গ্রেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হর্বাচভ বলেছেন, এত বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য ইউরোপে পাঠানোর পরিকাঠামো তাদের নেই।

জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এপি)