ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের বেহাল অবস্থা
২৬ আগস্ট ২০১১রেলের উপমহাপরিচালক মো. শাহজাহান ডয়চে ভেলের কাছে এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেন৷ আর যোগাযোগ মন্ত্রী বলেছেন, ২০১৪ সালের আগে রেলের সংকট কাটবেনা৷
সড়ক-মহাসড়কের দুরবস্থার কারণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ট্রেনের দিকে ঝুঁকলেও নেই কোন স্বস্তি৷ টিকেট পাওয়া যায়না৷ আবার যারা টিকেট পেয়েছেন তারা কখন গন্তব্যে রওয়ানা হতে পারবেন তা জানেন না৷ প্রতিটি ট্রেন গড়ে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা দেরিতে ছাড়ছে৷
রেলের উপমহাপরিচালক মো, শাহজাহান ডয়চে ভেলেকে জানান, রেলের নানা সংকট রয়েছে৷ ১৩০টি ষ্টেশন এখন বন্ধ আছে৷ ট্রেন আছে ২৮০টি৷ স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করেন তারা৷ কিন্তু ঈদের আগে তাদের গড়ে ১লাখ যাত্রী পরিবহণ করতে হয়৷ ফলে স্বাভাবিক কারণেই সংকট সৃষ্টি হয়েছে৷ তিনি স্বীকার করেন, ঈদের সময় তাদের পক্ষে নির্ধারিত সিডিউল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা৷ তবুও তারা চেষ্টা করছেন যতটা সম্ভব যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে৷
এদিকে যোগযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আজ কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন পরিদর্শন করেছেন৷ সাপ্তাহিক ছুটি ঈদের আগের শুক্রবার হওয়ার কারণে তিনি নিজেও যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ প্রত্যক্ষ করেন৷ তবে তিনি বলেন, রেলের এই সংকট দূর করতে আরো কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগবে৷ সরকার রেলের জন্য ১২১টি নতুন লোকোমোটিভ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে৷
এদিকে রেলের ওপর এই চাপের বিপরীতে বাস যাত্রীর সংখ্যা এবার অনেক কম৷ বাস কর্মচারীরা জানান, রাস্তার দুরবস্থার কারণে এবার বাধ্য না হলে কেউ বাসে চড়ে বাড়ি যাচ্ছেন না৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক