1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের বেহাল অবস্থা

২৬ আগস্ট ২০১১

সড়ক যোগোযোগের বেহাল দশার কারণে এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ ট্রেনের ওপর৷ কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই৷ টিকেট নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা আর টিকেট পেলেও কখন ট্রেন ছাড়বে তার কোন নিশ্চয়তা নেই৷

https://p.dw.com/p/12O7f
পরিবহন ব্যবস্থার উপর চাপ বাড়ছেছবি: picture-alliance/ dpa

রেলের উপমহাপরিচালক মো. শাহজাহান ডয়চে ভেলের কাছে এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেন৷ আর যোগাযোগ মন্ত্রী বলেছেন, ২০১৪ সালের আগে রেলের সংকট কাটবেনা৷

সড়ক-মহাসড়কের দুরবস্থার কারণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা ট্রেনের দিকে ঝুঁকলেও নেই কোন স্বস্তি৷ টিকেট পাওয়া যায়না৷ আবার যারা টিকেট পেয়েছেন তারা কখন গন্তব্যে রওয়ানা হতে পারবেন তা জানেন না৷ প্রতিটি ট্রেন গড়ে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা দেরিতে ছাড়ছে৷

Stadtansicht Dhaka
রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থাছবি: AP

রেলের উপমহাপরিচালক মো, শাহজাহান ডয়চে ভেলেকে জানান, রেলের নানা সংকট রয়েছে৷ ১৩০টি ষ্টেশন এখন বন্ধ আছে৷ ট্রেন আছে ২৮০টি৷ স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহণ করেন তারা৷ কিন্তু ঈদের আগে তাদের গড়ে ১লাখ যাত্রী পরিবহণ করতে হয়৷ ফলে স্বাভাবিক কারণেই সংকট সৃষ্টি হয়েছে৷ তিনি স্বীকার করেন, ঈদের সময় তাদের পক্ষে নির্ধারিত সিডিউল রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা৷ তবুও তারা চেষ্টা করছেন যতটা সম্ভব যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে৷

এদিকে যোগযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন আজ কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন পরিদর্শন করেছেন৷ সাপ্তাহিক ছুটি ঈদের আগের শুক্রবার হওয়ার কারণে তিনি নিজেও যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ প্রত্যক্ষ করেন৷ তবে তিনি বলেন, রেলের এই সংকট দূর করতে আরো কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগবে৷ সরকার রেলের জন্য ১২১টি নতুন লোকোমোটিভ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে৷

এদিকে রেলের ওপর এই চাপের বিপরীতে বাস যাত্রীর সংখ্যা এবার অনেক কম৷ বাস কর্মচারীরা জানান, রাস্তার দুরবস্থার কারণে এবার বাধ্য না হলে কেউ বাসে চড়ে বাড়ি যাচ্ছেন না৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য