1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বারাক ওবামার জয়ে আনন্দের অশ্রুধারা জার্মানিতে

মারিনা জোয়ারদার৫ নভেম্বর ২০০৮

বার্লিনের রাস্তায় মার্কিন এবং জার্মানরা একে ওপরকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে অভিনন্দন জানিয়েছে৷ আনন্দে, উচ্ছাসে অশ্রুকে ধরে রাখতে পারেনি অনেকেই৷ অবিশ্বাস্য মনে হয়ে অনেকের কাছে৷

https://p.dw.com/p/FnjR
বার্লিনে মার্কিন সমর্থকদের উচ্ছাসছবি: AP

বারাক ওবামা এত বিশাল ব্যবধানে জিতবে তা অনেকের কাছেই ছিল কল্পনার অতীত৷

গত জুলাই মাসে বারাক ওবামা বার্লিনে এসেছিলেন৷ জানিয়ে গেছেন তাঁর না বলা কথা, সন্ধান দিয়েছেন নতুন পথের, নতুন বিশ্বের, দিয়েছেন নতুন প্রতিশ্রুতি, করেছেন নতুন অঙ্গীকার৷ তার বক্তব্য শুনতে বার্লিনে জড়ো হয়েছিল প্রায় দু লক্ষ মানুষ৷ সবাই উত্‌সাহ দিয়েছে বারাক ওবামাকে, আশার আলো দেখিয়েছে৷

Barack Obama mit Ehefrau Michelle nach Wahlsig US Wahl Präsident
বিজয়ের পর স্ত্রী মিশেলের সঙ্গে ওবামাছবি: AP

বার্লিনে বসবাসরত প্রায় ৮০০ মার্কিন সারারাত অপেক্ষা করছিলেন নির্বাচনের ফলাফলের জন্য৷ নির্ঘুম রাত পার করেছেন প্রায় সাবই৷ অপেক্ষা - কে যাচ্ছে হোয়াইট হাউজে, তা দেখার জন্য৷ জানা - ৮ বছর পর কোন দলকে দেখা যাবে ক্ষমতায় একজন রিপাবলিকান নাকি একজন ডেমোক্র্যাটকে৷ অবশেষে স্থানীয় সময়েভোর পাঁচটায় আসল কাংখিত উত্তর বা ফলাফাল৷ হ্যা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জন ম্যাক কেইন নয় বরং বারাক ওবামা, ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷

২৮ বছর বয়স্ক ডিলিয়া বেইল জানান, অসাধারণ একটি ঘটনা ঘটেছে৷ এটি অবিশ্বাস্য৷ নিউ ইয়র্কে ডিলিয়া এম বি এ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে৷ এক পর্যায়ে সে চিত্‌কার করতে থাকে – ইয়েস উয়ি ক্যান৷ এই শ্লোগান দিয়ে বারাক ওবামা এগিয়ে গেছেন, জিতেছেন ভোটারদের হৃদয়, জিতেছেন হোয়াইট হাউজ৷

ডিলিয়া আরো জনায়, যদিও জার্মানরা ভোট দেয়নি কিন্তু তারাও শরীক হয়েছে এই আনন্দ শ্রোতধারায়৷ কেন, তিনি নিজেও জানেন না৷ তবে পুরো সময়টি তিনি উপভোগ করেছেন৷

USA Wahlen Wahlparty im Kino in Berlin
বার্লিনে ওবামা সমর্থকদের ইলেকশন পার্টিছবি: AP

এই নির্বাচনে অনেকেই মত পাল্টেছেন৷ যেমন পাল্টেছেন ৪৭ বছর বয়স্ক ক্যারল কেইটার৷ ক্যারল পেশায় একজন শিল্পী৷ পেনসেলভেনিয়ার নাগরিক৷ তিনি এবং তাঁর বাবা-মা সবসময় রিপাবলিকানদের ভোট দিয়ে এসেছেন৷ কিন্তু এবার তারা ঘটালো ব্যতিক্রম ধর্মী এক ঘটনা৷ বারাক ওবামা তাদের সবার ভোট জিতে নিয়েছেন, নিতে সক্ষম হয়েছেন৷ ক্যারল জানান, বারাক ওবামা এত নিখুঁত ভাবে কথা বলতে পারে, সে এত বিচক্ষণ, এত বুদ্ধিদিপ্ত তাঁর সততা আমাকে মুগ্ধ করেছে৷ আমি তাঁকে মনে প্রামে বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি তাঁর প্রতিটি কথা৷ আমার দৃঢ় বিশ্বাস তাঁর প্রতিটি প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করবেন৷ তিনি আমাদের জিতে নিয়েছেন৷

৩৯ বছর বয়স্ক জার্মান নাগরিক ফ্রাঙ্ক শ্নাইডার জানান, এই নির্বাচনে ইউরোপ আমেরিকাকে নতুন করে দেখবে, একে অপরের কাছে আসবে৷ ফ্রাঙ্ক সারারাত ঘুমায়নি শুধুমাত্র জানার জন্য হোয়াইট হাউজে কে যাচ্ছে তা দেখার জন্য৷ ফ্রাঙ্কের মতে, ইরাক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে অদৃশ্য একটি দেয়াল তৈরী হয়েছিল৷ কারণ ছিল প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ৷ সেই সময়ের অবসান হয়েছে৷ তিনি জানান, আমি বিশ্বাস করি স্বাধীনতার অন্য আরেকটি সংজ্ঞা বারাক ওবামা জানেন৷ তিনি জানেন, স্বাধীনতা কী দিয়ে তৈরী৷ জর্জ বুশের মত তাঁর নিজের মতামত সাবর ওপর চাপিয়ে দিতে চাননা বারাক ওবামা৷ আমার মনে হয় পরারাষ্ট্রনীতিতে আমরা বিশাল একটি পিবর্তন দেখবো আমেরিকার পক্ষ থেকে৷ ইরান, তাদের পরমানু কর্মকান্ড সবকিছু তিনি আলোচনার মধ্যে নিয়ে আসবেন৷ এভাবেই তিনি এসব সমস্যার সমাধান করবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য