1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতীয় স্তরে ঐকমত্য চান শলৎস

২৯ আগস্ট ২০২৪

জোলিঙেনের ঘটনার পর চ্যান্সেলর শলৎস রাজ্য সরকার, বিরোধী দল ও ফেডারেল মন্ত্রণালয়গুলির মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিচ্ছেন৷ প্রত্যর্পণ, উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদ ও অস্ত্র আইন নিয়ে কথা বলতে চান তিনি৷

https://p.dw.com/p/4k2GQ
সিডিইউ নেতা ম্যারৎসের সাথে কথা বলার মুহূর্তে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস
জোলিঙেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে জার্মানির রাজনীতি, সংলাপের ঘোষণা চ্যান্সেলর শলৎসের ছবি: Hannes P. Albert/dpa/picture alliance

জোলিঙেনের ঘটনার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷ বিরোধী নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথ উদ্যোগে সংসদে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেওয়ার পর শলৎস বুধবার শরণার্থী নীতির প্রশ্নে বিরোধী দলগুলি এবং ১৬টি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংলাপের ঘোষণা করেছেন৷ অবৈধ শরণার্থীদের প্রত্যর্পণ, উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ও অস্ত্র সংক্রান্ত আইনের সংস্কারের বিষয়ে তিনি ঐকমত্য অর্জন করতে চান বলে জানিয়েছেন৷ জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার রাজ্য সরকার, বিরোধী দল ও ফেডারেল মন্ত্রণালয়গুলির প্রতিনিধিদের আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন৷ তবে আলোচনার দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি৷

গত শুক্রবার জার্মানির পশ্চিমে জোলিঙেনে এক অবৈধ সিরীয় শরণার্থীর ছুরি হামলায় তিন জন নিহত ও আট জন আহত হওয়ার পর গোটা জার্মানিজুড়ে অভিবাসন নীতি নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তি যেভাবে বুলগেরিয়ায় প্রত্যর্পণ এড়িয়ে জার্মানিতে থেকে যেতে পেরেছিলেন, সেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে৷ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে জার্মানি থেকে প্রত্যর্পণের হার কিছুটা বাড়লেও চ্যান্সেলর শলৎসের মতে, সেই নীতি কার্যকর করতে আরো পদক্ষেপের অবকাশ রয়েছে৷ তিনি অবৈধ অনুপ্রবেশ সীমিত রাখতে আরো উদ্যোগের অঙ্গীকার করেছেন৷ শলৎস বলেন আইনি পথে অভিবাসন চাইলে বেআনি অনুপ্রবেশ সীমিত করতেই হবে, যাতে দেশের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি না হয়৷ আন্তর্জাতিক, ইউরোপীয় ও জার্মান আইন লঙ্ঘন না করেই সেটা করা সম্ভব হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

জোলিঙেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জার্মানির দলীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে৷ জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর ও সবুজ দলের নেতা রোব্যার্ট হাবেক বিরোধী নেতা ম্যারৎসের সমালোচনা করেছেন৷ রক্ষণশীল সিডিইউ দলের নেতা যেভাবে শলৎসকে প্রয়োজনে জোট সরকারের শরিক সবুজ দল ও এফডিপি দলের সম্মতি ছাড়াই আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই মনোভাবকে ‘বিভাজনমূলক’ বুলি হিসেবে বর্ণনা করেন হাবেক৷ তিনি মনে করিয়ে দেন যে, জোলিঙেন নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের এক শহর, যে রাজ্যে সিডিইউ ও সবুজ দলের জোট সরকার ক্ষমতায় আছে৷ তাছাড়া ম্যারৎস যেভাবে জাতীয় স্তরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইইউ অভিবাসন আইন উপেক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছেন, সেই মনোভাবেরও সমালোচনা করেন হাবেক৷ তাঁর মতে, ইউরোপ মোটেই সেভাবে চলে না৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান