1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো কড়া অভিবাসন নীতি চান জার্মানির বিরোধী নেতা

২৮ আগস্ট ২০২৪

জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে দেখা করে অভিসান সংক্রান্ত আরো কড়া আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধী নেতা৷ প্রয়োজনে সংসদে যৌথভাবে এমন আইন প্রণয়ন করতে চান তিনি৷

https://p.dw.com/p/4jzu7
জার্মান পার্লামেন্ট বুন্ডেসটাগে এসপিডি নেতা চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং বিরোধী সিডিইউ এর নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস
অভিবাসন নীতি আরো কঠোর করার জন্য চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছেন সিডিইউ নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎসছবি: Florian Gaertner/photothek/picture alliance

জোলিঙেন শহরে হামলার পর জার্মানির শরণার্থী সংক্রান্ত নীতি আরো কড়া করতে সরকারকে সরাসরি সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল সিডিইউ৷ দলের নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস মঙ্গলবার চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে দেখা করে যৌথ উদ্যোগে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দেন৷ এমনকি জোট সরকারের বাকি দুই শরিকের সম্মতি না পেলেও শলৎসের এসপিডি ও বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরের সম্মিলিত শক্তিতে সংসদে এমন আইন অনুমোদন করানোর পরামর্শ দিয়েছেন ম্যারৎস৷ অনুপ্রবেশ রুখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যর্থতার মুখে প্রয়োজনে জাতীয় স্তরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন৷

গত শুক্রবার জার্মানির পশ্চিমে সোলিঙেন শহরে ২৬ বছর বয়সি অনিয়মিত সিরীয় শরণার্থীর হামলায় তিন জন নিহত হওয়ার পর গোটা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ আগামী রোববার পূবের দুই রাজ্যের নির্বাচনি প্রচারেও শরণার্থী সংক্রান্ত নীতি বাড়তি প্রাধান্য পাচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে দলীয় রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে দেশের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে চ্যান্সেলরকে চ্যালেঞ্জ করেছেন বিরোধী নেতা ম্যারৎস৷ জার্মানিতে  অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে একগুচ্ছ সামগ্রিক পদক্ষেপের ডাক দিয়েছেন তিনি৷

চ্যান্সেলর শলৎস বলেছেন, তিনি বিরোধী নেতার প্রস্তাব বিবেচনা করে প্রতিক্রিয়া জানাবেন৷ ম্যারৎসের প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগের নতুন অধিবেশনের আগেই ঐকমত্যের সম্ভাবনা সম্পর্কেও তিনি কিছু বলেন নি৷ তবে তিনি বিরোধী নেতার সহযোগিতার প্রস্তাবকে নীতিগতভাবে স্বাগত জানিয়েছেন৷ মঙ্গলবার এক নির্বাচনি প্রচারসভায় শলৎস বলেন, জার্মানিতে আরো ভালো বিধিনিয়ম নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে৷ তবে তাঁর মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলির নিয়ম লঙ্ঘনের কোনো অবকাশ নেই৷ এ ক্ষেত্রে জার্মানির নিজস্ব সংবিধানও উপেক্ষা করলে চলবে না৷ বেপরোয়া অবস্থানের বদলে তিনি দায়িত্বজ্ঞানসহ কার্যকর পদক্ষেপের পক্ষে সওয়াল করেন৷

অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবিলা করতে জার্মানিতে নতুন পদক্ষেপের পাশাপাশি বর্তমান নিয়ম-কানুন বাস্তবে আরো কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার জন্য চাপ বাড়ছে৷ বিশেষ করে রাজ্য সরকারগুলিকে আরো সক্রিয় হওয়ার ডাক দিয়েছেন ফেডারেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার ও আইনমন্ত্রী মার্কো বুশমান৷ প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও হাজার হাজার শরণার্থী বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় তাদের দেশছাড়া করা সম্ভব হচ্ছে না৷ বুশমান আইন অনুযায়ী এমন মানুষদের চিহ্বিত করার উপর জোর দিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)