1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলে গাউক

২৯ মে ২০১২

জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক ২৮ থেকে ৩১শে মে ইসরায়েল সফর করছেন৷ ইসরায়েলের কিছু নীতি সম্পর্কে জার্মানিতে বেড়ে চলা সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/153lp
ছবি: Reuters

ঐতিহাসিক কারণে জার্মানি ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চরিত্র একেবারে অভিনব, যার কোনো তুলনা হয় না৷ হিটলারের নাৎসি শাসনযন্ত্রের ইহুদি-নিধন যজ্ঞে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের গণহত্যার জের ধরেই রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের জন্ম৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফেডারেল জার্মান প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ক্রমশ অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে, বেড়ে চলেছে সহযোগিতা৷ ইসরায়েলের অস্তিত্ব জার্মানির রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের মধ্যে পড়ে৷

কিন্তু সাম্প্রতিক এক জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, জার্মানির প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ অন্যান্য দেশের প্রতি ইসরায়েলের নীতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন৷ প্রায় ৫৯ শতাংশ মানুষ ইসরায়েলের নীতিকে আগ্রাসী বলে মনে করেন৷ তার আগে জার্মানির নোবেলজয়ী লেখক গ্যুন্টার গ্রাস একটি কবিতায় ইসরায়েলের নীতির কড়া সমালোচনা করেছিলেন৷ ইহুদি জাতি বা রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের প্রশ্নে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা না গেলেও ইসরায়েলের বর্তমান রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলি প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ছে৷ ফলে ইসরায়েলেও জার্মানির মতিগতি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷

Bundespräsident Joachim Gauck fliegt nach Israel
ইসরায়েলের পথে প্রেসিডেন্ট গাউকছবি: picture-alliance/dpa

ঠিক এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে ইসরায়েল সফর করছেন জার্মানির নতুন প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক৷ দুই দেশ ও জাতির মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি দূর করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আবার স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারবেন তিনি, এমনই এক প্রত্যাশা কাজ করছে তাঁর এই সফরকে ঘিরে৷ জেরুসালেম পৌঁছে গাউক বলেন, কোনো জনমত সমীক্ষাকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে না চাইলেও ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে তিনি এর ফলাফল নিয়ে বেশ চিন্তিত৷ বিষয়টির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক কারণে ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে৷ ইসরায়েল সম্পর্কে বেড়ে চলা নেতিবাচক মনোভাব শুধু জার্মানিতেই সীমাবদ্ধ নয় বটে, তবে জার্মান হিসেবে আমাদের নিজেদেরকেই প্রশ্ন করা উচিত – ঠিক কোন জায়গা থেকে আমরা ইসরায়েলের নীতির মূল্যায়ন করছি৷'' গাউক আরও বলেন, বন্ধুত্বের খাতিরে সমালোচনা চলতেই পারে, কিন্তু ভুল ধারণা নিয়ে তা করলে চলবে না৷

জার্মান প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলের সরকার ও বিরোধী পক্ষ সহ বিভিন্ন মহলের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন৷ এঁদের মধ্যে আছেন প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবামান, প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, বিরোধী নেত্রী শেলি ইয়াখিমোভিচ৷ ফিলিস্তিনি এলাকায় গিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও প্রধানমন্ত্রী সালাম ফায়াদ'এর সঙ্গেও আলোচনা করবেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন (ডিপিএ, এএফপি)

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য