1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রাস-িসরায়েল

৮ এপ্রিল ২০১২

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান কথাসাহিত্যিক গুইন্টার গ্রাস তাঁর ‘‘যা বলা উচিৎ’’ কবিতায় ইসরায়েল ইরানের উপর প্রতিরোধমূলক হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করেছেন৷ এবার এলো ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া৷

https://p.dw.com/p/14Zat
ছবি: dapd

রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এলি ইশাই এ' ঘোষণা দেন এবং বলেন, ‘‘গ্রাস'এর কবিতাটি ইসরায়েল রাষ্ট্র ও তার জনগণের প্রতি বিদ্বেষের অগ্নি উস্কে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা৷'' গুইন্টার গ্রাস যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে কুখ্যাত ওয়াফেন-এসএস গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন, এবং পরবর্তী ৬০ বছর ধরে সে-বিষয়ে নীরব থাকেন, তার প্রতি ইঙ্গিত করে ইশাই বলেন, ‘‘এসএস উর্দি পরার সময় তিনি যে সব ধারণার প্রকাশ্য সহযোগী ছিলেন, তিনি এখনও সেগুলি প্রচার করার চেষ্টা করছেন৷''

ইশাই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু'র রক্ষণশীল জোট সরকারে একটি চরম সনাতনপন্থি ইহুদি দলের প্রধান৷ তিনি গ্রাস'কে সরাসরি ইরানে গিয়ে তার এই সব ‘‘বিকৃত ও মিথ্যা'' ধ্যানধারণা প্রচার করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ সেখানে নাকি গ্রাস উৎসাহী শ্রোতা পাবেন৷

Gedicht «Was gesagt werden muss» Günter Grass
গ্রাস’এর বিতর্কিত কবিতা: ‘‘ভাস গেসাগ্ট ভের্ডেন মুস’’ছবি: picture-alliance/dpa

গত বুধবার স্যুড-ডয়েচে সাইটুং পত্রিকায় গ্রাস'এর ৬৬ ছত্রের কবিতাটি প্রকাশিত হয়৷ তার পরে জার্মানিতেও নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বয়ে গেছে৷ সেটা স্বাভাবিক৷ কেননা যে দেশ থেকে হলোকস্টের সূচনা, সে'দেশে ইসরায়েলের প্রতি বিশেষ দায়িত্বের কথা জার্মান জাতি, জনগণ এবং রাজনীতি, সকলের চেতনায়৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইসরায়েলের প্রসঙ্গ উঠলেই প্রতিবার স্মরণ করিয়ে দেন যে, ইসরায়েলের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তা জার্মান পররাষ্ট্রনীতির একটি অপরিবর্তনীয় উপাদান৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে বিল্ড আম জোন্টাগ পত্রিকায় গ্রাস'এর সমালোচনা করে বলেছেন, ইসরায়েল এবং ইরানকে একই নৈতিক পর্যায়ে ফেলাটা হাস্যকর হয়েছে৷

অপরদিকে প্রখ্যাত ইসরায়েলি ইতিহাসবেত্তা টম সেগেভ বলেছেন, নিজের অপরাধবোধ থেকেই গ্রাস'এর এই ভ্রান্তি, যেন তিনি জীবনের শেষে নিজেই নিজেকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন৷ আসলে গ্রাস ইহুদি-বিদ্বেষী নন, এমনকি ইসরায়েল-বিরোধীও নন৷ ‘‘যেটুকু কালি বাকি আছে'', তাই দিয়ে তিনি কবিতাটি লিখেছেন, গ্রাস বলেছেন তার কবিতায়৷ সেগেভ যোগ করেছেন, আশা করা যাক, আরেকটা সুন্দর উপন্যাসের জন্যও কালি থাকবে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (ডিপিএ, রয়টার্স)
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম