২০২০ সালের অলিম্পিক আয়োজন করতে চায় দোহা
১৭ ডিসেম্বর ২০১১পারস্য উপসাগরের এই ছোট্ট কিন্তু সম্পদশালী দেশটি ২০২০ সালের অলিম্পিক আসর আয়োজনের জন্য প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছে৷ তবে এই প্রতিযোগিতায় দোহা'কে লড়তে হবে শক্ত প্রতিপক্ষ আজারবাইজেনের বাকু, তুরস্কের ইস্তানবুল, জাপানের টোকিও, স্পেনের মাদ্রিদ এবং ইটালির রোম নগরীর সঙ্গে৷ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই ছয়টি নগরীর কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে অলিম্পিক আসর আয়োজনের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা পেশ করবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক পরিষদ - আইওসি'র কাছে৷
এই পরিষদের নির্বাহী সদস্যরা মে মাসে বৈঠকে বসবেন আগ্রহী দেশগুলোর প্রার্থিতা বিবেচনায়৷ এসময়ই তাঁরা ঠিক করবেন যে আগ্রহী সবগুলো দেশকেই প্রার্থী হিসেবে রাখবেন, নাকি তাদের মধ্যে কারো প্রার্থিতা বাতিল করবেন৷ আর আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আইওসি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করবে ২০২০ সালের অলিম্পিক আসরের আয়োজক দেশ৷ তাই মে মাসের আইওসি বৈঠকটিই দোহার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ এর আগেও ২০১৬ সালের অলিম্পিক আসর আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছিল কাতার৷
কিন্তু সেসময় অলিম্পিক আসরের জন্য নির্ধারিত জুলাই-আগস্ট মাসের সময়সীমার বাইরে সুবিধাজনক সময়ে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিল দোহা৷ কারণ জুন-জুলাই মাসে কাতারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে থাকে৷ তাই এতো গরমের মধ্যে আন্তর্জাতিক আসর না করে বরং শীতকালে সেটি আয়োজনের প্রস্তাব ছিল দোহার৷ কিন্তু দোহার এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তাদের প্রার্থিতাই নাকচ করে দিয়েছিল আইওসি কর্তৃপক্ষ৷ তাদের বক্তব্য ছিল, অলিম্পিকের সময়সীমা পরিবর্তন করলে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনের বার্ষিক পরিকল্পনার সাথে তা সাংঘর্ষিক হতে পারে৷
অবশ্য এবার নিজেদের প্রার্থিতা সম্পর্কে বেশ শক্ত অবস্থানের কথা জানালেন দোহা ২০২০ কমিটির প্রধান নুর আল মানাই৷ তিনি বলেন, ‘‘গত চার বছর আগের চেয়ে এবার আমাদের অবস্থান অনেক বেশি শক্ত৷'' এছাড়া কাতার অলিম্পিক পরিষদের মহাসচিব শেখ সউদ বিন আব্দুলরহমান আল সানি জানিয়েছেন, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে অলিম্পিক আসর আয়োজনের তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে আইওসি'র ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছেন তারা৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম