1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিযুক্তরাজ্য

হার স্বীকার করে নিলেন সুনাক, জিতছেন স্টারমার

৫ জুলাই ২০২৪

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেয়ার স্টারমার। রেকর্ড ভোট নিয়ে বিরাট জয়ের পথে লেবার পার্টি।

https://p.dw.com/p/4htDX
যুক্তরাজ্যের নির্বাচন
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে জয়ের পথে লেবার পার্টিছবি: Jakub Porzycki/NurPhoto/picture alliance

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে হার স্বীকার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বলেছেন, ''দলের এই হারের দায় আমার। আমি দুঃখিত। কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন।'' বস্তুত, ম্য়াজিক ফিগার পার করে বিপুল জয়ের পথে লেবার পার্টি। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেয়ার স্টারমার। তিনি লেবার পার্টির বর্তমান প্রধান।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমনস। ৬৫০ সিটের হাউস অফ কমনসে ৪১০টি আসনে এগিয়ে আছে লেবার পার্টি। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ে ২৯১ টি আসনে এগিয়ে আছে তারা। বুথ ফেরত সমীক্ষায় এমনই ফলাফলের ইঙ্গিত পাওয়া গেছিল। বস্তুত, ইতিমধ্যেই ফলাফল ঘোষণাও শুরু হয়ে গেছে। লেবার পার্টি ৪১০ টি আসনে এগিয়ে। কনসারভেটিভরা এগিয়ে ১১৯টি আসনে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার কেয়ার স্টারমার তার লন্ডন আসনে বিপুল ভোটে জয়ী ঘোষিত হয়েছেন। তিনি এখন লেবার পার্টির প্রধান। সব ঠিক থাকলে তিনিই হবেন যুক্তরাজ্য়ের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

জয়ী ঘোষণা হওয়ার পর স্টারমার বলেছেন, ''আপনারা ভোট দিয়ে আমাদের জিতিয়েছেন। এবার আমাদের আপনাদের জন্য় কাজ করতে হবে।'' ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের ভোটে এত ভালো ফলাফল করতে চলেছে লেবার পার্টি।

অন্য়দিকে, ভয়াবহ ফলাফলের মুখে ঋষি সুনকের কনসারভেটিভ পার্টির। সব মিলিয়ে তারা জিততে পারে ১৩১ টি আসন। লিবারাল ডেমোক্র্য়াট এবং রিফর্ম পার্টিও আগের চেয়ে আসন সংখ্যা বাড়াতে পারে। ব্রেক্সিটের ফসল নাইজেল ফারেজের রিফর্ম ইউকে দল সব মিলিয়ে ১৩টি আসনে জয়লভা করতে পারে।

অ্যাশফিল্ড আসনে লড়াই করেছেন রিফর্ম পার্টির লি অ্যান্ডারসন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি কনসারভেটিভ পার্টির সদস্য় ছিলেন এবং এই আসন থেকেই জিতেছিলেন। এবারেও ওই আসন থেকে রিফর্ম পার্টির হয়ে জয়লাভ করেছেন তিনি। 

ফারেজ বলেছেন, তাদের এই ফল বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। ১৩টি আসন নিয়ে পার্লামেন্টে চতুর্থ বৃহত্তম দলের জায়গা পাবে রিফর্ম পার্টি।

ভোটের ফলাফলে একটি বিষয় স্পষ্ট, মানুষ সুনাকের সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দিয়েছে। ঐতিহাসিককালের মধ্যে এত খারাপ ফলাফল করেনি কনসারভেটিভ পার্টি। যার দায় সুনাককে নিতে হবে। ভোটদাতারা বলেছেন, অর্থনীতির উন্নয়ন এবং আরেকটু ভালো জীবনযাপনের কথা মাথায় রেখে তারা ভোট দিয়েছেন। সুনাক যেভাবে অর্থনীতি সামলেছেন, তার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। অন্য়দিকে লেবার পার্টিও নিজেদের আগের অবস্থান থেকে খানিকটা সরে এসেছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য। জেরেমি করবিনের নেতৃত্বে লেবার পার্টি যতটা বাম মনোভাবাপন্ন ছিল, স্টারমার ততটা রক্ষণশীল বাম নন বলেই তাদের বক্তব্য়। ইতিমধ্যেই করবিনের কাশ্মীর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন স্টারমার। ইস্তেহারে জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রক্ষা করা তার অন্য়তম লক্ষ্য।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)