1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেপ্টেম্বরে তিন পর্বে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন

১৬ আগস্ট ২০২৪

জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন হবে। তিন পর্বের নির্বাচন শুরু হবে ১৮ সেপ্টেম্বর।

https://p.dw.com/p/4jYRh
লোকসভা নির্বাচনে কাশ্মীরের একটি বুথে ভোটের লাইনের ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের সময় কাশ্মীরে ভোটদাতাদের লম্বা লাইন। ছবি: Salahuddin Zain/DW

ফলাফল প্রকাশ করা হবে ৪ অক্টোবর। ১৮ তারিখ প্রথম পর্বে ২৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর ২৬টি আসনে এবং ১ অক্টোবর ৪০টি আসনে ভোট হবে।

হরিয়ানাতেও বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানায় ভোট হবে ১ অক্টোবর।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করতে হবে।

২০১৮ সালের পরে জম্মু ও কাশ্মীরে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বে পিডিপি-বিজেপি সরকারই জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ নির্বাচিত সরকার।

৩৭০ ধারা বিলোপের পর কী পরিবর্তন হয়েছে?

জম্মু ও কাশ্মীর তার বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরকে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ। নির্বাচন কেন্দ্রের এলাকার পুনর্বিন্যাস হয়েছে। বিধানসভার আসন ৮৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০। তার মধ্যে ৪৩টি আসন জম্মুতে এবং ৪৭টি কাশ্মীরে।

জম্মু ও কাশ্মীর রি-অর্গানাইজেশন আইন অনুসারে এলজি কাশ্মীরি অভিবাসীদের মধ্য়ে থেকে তিনজন সদস্যকে মনোনীত করতে পারবেন। এরমধ্যে একজন ১৯৪৭ সালের পর পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতে আসা মানুষ।

এর আগে ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে চারটি দলের মধ্যে আসন ভাগাভাগি হয়েছিল। সবচেয়ে বড় দল হয়েছিল পিডিপি, তারা পেয়েছিল ২৮টি আসন। বিজেপি ২৭টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় হয়। এনসি ১৫ ও কংগ্রেস ১২টি আসন পায়।

গত লোকসভা নির্বাচনে জম্মু ও কাশ্মীরে ভালো ভোট পড়েছিল। বিজেপি ২৪ দশমিক ৩৬, এনসি ২২ দশমিক তিন, কংগ্রেস ১৯ দশমিক ৩৮ ও পিডিপি আট দশমিক ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

সম্প্রতি জম্মুতে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৭ দিনে ১৭টা সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। জুন মাসের পর থেকে ২৬ জন জওয়ান ও ১১ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন।

জিএইচ/এসিবি(পিটিআই, এএনআই)