1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় সমঝোতা বৈঠক শুরু, মার্কিন ও ফরাসি দূতকে তলব

১০ জুলাই ২০১১

সিরিয়ায় গত মার্চ থেকে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী বিক্ষোভ থামাতে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ তবে সেখানে নির্যাতন বন্ধ না করা পর্যন্ত সমঝোতা আলোচনায় বসতে নারাজ বিরোধীদের একাংশ৷ এদিকে, মার্কিন ও ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/11saa
ছবি: picture-alliance/dpa

রবিবার সিরিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় সংলাপ পরিষদের প্রধান ফারুক আল-শারার নেতৃত্বে শুরু হলো সমঝোতা আলোচনা৷ বৈঠকের শুরুতে আল-শারা বলেন, ‘‘এই আলোচনা এমন এক সময় শুরু হচ্ছে যখন বাইরে কিংবা ভেতরে কোথাও পরিস্থিতি শান্ত নয়৷'' একইসাথে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, কোন দেশে ক্রান্তিকাল কখনও সহজে শেষ হয় না৷ অথচ এমন পরিস্থিতিতেও কিছু মহল এই বৈঠক বর্জন করছে তা ‘অযৌক্তিক' বলে উল্লেখ করেন তিনি৷ সমঝোতা বৈঠকের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আল-শারা বলেন, ‘‘সকল জাতীয় এবং গোত্রীয় সংকট সংলাপের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে৷''

এছাড়া সমঝোতা বৈঠকের শুরুতে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে, সম্প্রতি সিরিয়া থেকে যারা পালিয়ে গিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছিল দেশে ফিরতে তাদের কোন বাধা নেই৷ তবে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের এই সমঝোতা আলোচনা বয়কটকারী মহল বলছে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের উপর সরকারি বাহিনীর হামলা বন্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ কোন আলোচনা নয়৷ এছাড়া সকল রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি এবং সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মীদের কাজ করার অনুমতি প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধী গোষ্ঠী৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাবে, চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়া আসাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় দেড় হাজার সাধারণ মানুষ৷ এছাড়া বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে সাড়ে তিনশ' নিরাপত্তা কর্মীও নিহত হয়েছেন৷ আটক করা হয়েছে অন্তত ১২ হাজার মানুষকে৷

Farouk al-Sharaa
জাতীয় সংলাপ কমিটির প্রধান ফারুক আল শারাছবি: AP

এদিকে, হামা শহর পরিদর্শনে যাওয়ায় সিরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট ফোর্ড এবং ফরাসি রাষ্ট্রদূত এরিক শেভালিয়ঁকে তলব করেছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ সিরিয়ার দাবি, গত শুক্রবার সিরিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐ শহর পরিদর্শনে গিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে গৃহীত ভিয়েনা সনদের ৪১ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন তাঁরা৷ কারণ সেই ধারায় বলা হয়েছে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই৷

অবশ্য, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে৷ তারা বলছে, সিরিয়ার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রতি তাদের সমর্থন জানাতেই রাষ্ট্রদূত ঐ অঞ্চল সফর করেন৷ মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বলছে, ঐ দুই রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতির কারণে সেদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে৷ কারণ তাঁরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলেই সরকারের পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও সেদিন সাধারণ মানুষের উপর নিরাপত্তা বাহিনী হামলা থেকে বিরত ছিল৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য