1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ার সঙ্গে আরও সংঘাতের পথে অ্যামেরিকা, ফ্রান্স

১২ জুলাই ২০১১

সোমবার দামেস্কে তাদের দূতাবাসের উপর জনতার হামলার পর ওয়াশিংটন ও প্যারিস বলছে, বাশার আল আসাদের ক্ষমতা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে৷

https://p.dw.com/p/11tgQ
আসাদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ক্লিন্টনছবি: dapd
হামলার প্রেক্ষাপট ও প্রতিক্রিয়া

সোমবার আসাদপন্থী জনতা দামেস্কে মার্কিন ও ফরাসি দূতাবাসের উপর হামলা চালায়৷ মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট ফোর্ড ও ফরাসি রাষ্ট্রদূত এরিক শেভালিয়ে হামা শহরে গিয়ে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি দেখানোর প্রতিবাদে আসাদপন্থীরা এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রঁসোয়া ফিয়ঁ এপর্যন্ত সবচেয়ে কড়া ভাষায় এই হামলার নিন্দা করেছেন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটনের সঙ্গে আলোচনার পর ক্লিন্টন বলেন, ‘‘আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে আসাদের আর কোনো বৈধতা নেই৷ তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তিনি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ নিজের দেশের মানুষের নিপীড়নের লক্ষ্যে তিনি ইরানের কাছে সহায়তা চেয়েছেন এবং তা গ্রহণও করেছেন৷ ফলে আসাদ আর অপরিহার্য নয়৷'' ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় গত দুই দিনের ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷ ফিয়ঁ বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট আসাদ এবার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন৷ নিরাপত্তা পরিষদের নীরবতা অসহনীয় হয়ে উঠছে৷''

Übergriffe auf die US-Botschaft in Damaskus
হামলার পর দামেস্কের মার্কিন দূতাবাসছবি: dapd

সিরিয়ার প্রতিক্রিয়া

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা সঙ্গে সঙ্গে ক্লিন্টনের বক্তব্যের নিন্দা করে বলেছে, প্ররোচনামূলক এই বক্তব্যের উদ্দেশ্যই হলো সিরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা জিইয়ে রাখা৷ ওয়াশিংটন যে খোলাখুলি সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে চলেছে, এই বিবৃতি তার আরও একটা প্রমাণ৷ সিরিয়ার মানুষই দেশের নেতৃত্বের বৈধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে, অ্যামেরিকা বা অন্য কোনো দেশের এবিষয়ে কথা বলার অধিকার নেই৷

NO FLASH Gesprächsrunde zu Syrien in Damaskus
সরকার সমর্থিত জাতীয় সংলাপের অংশগ্রহণকারীরাছবি: picture alliance/dpa

অসহায় পশ্চিমা বিশ্ব

এখনো পর্যন্ত আসাদ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা চাপানো ছাড়া অন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না অ্যামেরিকা, ফ্রান্স বা অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলি৷ রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতার ফলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও সিরিয়ার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রস্তাব আনতে পারছে না তারা৷ তবে এই প্রথম মার্কিন প্রশাসন সরাসরি আসাদকে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাবার ডাক দিল৷ এদিকে সিরিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার ফেসবুকে আসাদকে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে পেশ করার ডাক দেওয়া হয়েছে৷ আদালত সত্যি এমন উদ্যোগ নিলে আসাদ বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়বেন, এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য