1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় উদ্বেগ

৬ আগস্ট ২০২৪

বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অধিকারগোষ্ঠী ও বিদেশি কূটনীতিকেরা৷

https://p.dw.com/p/4jBHB
পুড়ে যাওয়া স্থাপনা
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছেছবি: DW

বাংলাদেশে গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার খবর পাওয়া গেছে৷

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক রানাদাশ গুপ্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সোম ও মঙ্গলবার অন্তত ৯৭টি স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে৷ ১০টি মন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে৷

বার্তাসংস্থা এএফপি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় বাগেরহাট জেলায় একজন হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷

দৈনিক প্রথম আলো জানিয়েছে, সোমবার নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরে হিন্দুদের মন্দিরে এবং যশোর, নোয়াখালী, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে৷ দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে৷ এছাড়া রংপুরের তারাগঞ্জে আহমদিয়াদের উপাসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়৷

ঢাকায় সংগীত শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে৷

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এএফপিকে বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের হামলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী৷''

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেয়া বার্তায় সবার প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে৷ তারা বলেছে, ‘‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ধর্মীয় স্থানের উপর হামলার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন৷''

বাংলাদেশে ধর্মীয় উপাসনা এবং সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশনগুলোর প্রধানেরাও৷ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থ ও অন্যদের প্রচেষ্টাকে তারা স্বাগত জানিয়েছে৷ এক্স-এ দেয়া বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘সব দলের প্রতি আহ্বান, যাতে তারা সংযমের পথ বেছে নেয়, সব মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নয়৷''

মঙ্গলবার ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি তারা নজরে রাখছেন৷

এএফপির তথ্য অনুযায়ী সোমবার বাংলাদেশে সহিংসতায় অন্তত ১২২ জন মারা গেছেন, যা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা৷

এফএস/জেডএইচ (এএফপি, প্রথম আলো)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য