1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষের আবেগ বোঝার ক্ষেত্রেও অগ্রসর হচ্ছে এআই

৬ আগস্ট ২০২৪

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ অভাবনীয় গতিতে ঘটে চলেছে৷ সেই প্রযুক্তি এমনকি মানুষের আবেগও বুঝতে শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/4jAZK
কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা
যেকোনো প্রযুক্তির মতো কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তাও মানুষের কল্যাণে প্রয়োগ করা যেতে পারেছবি: Bihlmayerfotografie/Imago

তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ থাকলেও যে কোনো প্রযুক্তির মতো এটিকেও মানুষের কল্যাণে প্রয়োগ করা যেতে পারে৷

গোটা বিশ্বে অনেক কোম্পানি ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ প্রসেসিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাহক ও কর্মীদের মানসিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে৷

কোভিড মহামারির সময়ে জনাথন ক্রাইডলারের এক গবেষণা এআই সিস্টেমের কার্যকারিতা দেখিয়ে দিয়েছে৷ রিসেপ্টিভিটি নামের ইমোশন এআই স্টার্টআপ কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি নিজস্ব সফ্টওয়্যার কাজে লাগিয়ে রেডইট প্ল্যাটফর্মে ৬,৫০০ নার্স ও ডাক্তারের পোস্ট বিশ্লেষণ করেন৷

চার বছর ধরে প্রায় ৪০ লাখ কমেন্ট বিশ্লেষণ করে ক্রাইডলার গোটা বিশ্বের গবেষকদের জন্য এক তথ্যভাণ্ডার সৃষ্টি করেছেন৷ মানসিক যন্ত্রণা এবং ট্রমা শনাক্ত করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আনাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ রিসেপ্টিভিটিত সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট জনাথন ক্রাইডলার মনে করেন, ‘‘আসলে আমাদের মূল্যায়ন থেকে নানা ধরনের অন্তর্দৃষ্টি উঠে আসে৷ ব্যক্তিত্বের মতো অপেক্ষাকৃত সহজ কনসেপ্ট বোঝা কঠিন নয়৷ সেইসঙ্গে আমরা মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বা প্রবণতাও বুঝতে পারি এবং প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কোনো বিশেষ মুহূর্তে মানুষের মধ্যে পরিবর্তনও টের পাই৷ এমনকি মহামারির শুরুর দিকে যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মহামারি ঘোষণা করে নি, তখনই কিছু প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল৷ যা থেকে পরে এলিভেটেড কগনিটিভ লোডের মতো বার্নআউটের ঘটনা দেখা গেলো৷

সেই বিশ্লেষণের জন্য শুধু ইমেল, স্ল্যাক মেসেজ বা সোশাল মিডিয়া পোস্টের মতো দৈনন্দিন যোগাযোগের নমুনা লাগে৷ সেই যোগাযোগের বৃত্তান্ত ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় সফটওয়্যার কিন্তু শুধু অনুভূতির সরাসরি বর্ণনার সন্ধান করে না, সর্বনামের মতো তথাকথিত ‘ফাংকশন ওয়ার্ডস'-ও বিশ্লেষণ করে৷ আমরা সেই শব্দগুলি যেভাবে ব্যবহার করি, তা আমাদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে অনেক কিছু প্রকাশ করে৷

আবেগ ধরতে পারবে এআই!

দেখা গেছে, অবসাদগ্রস্ত মানুষ একবচন সর্বনাম বেশি ব্যবহার করেন, যেমন ‘আমি', ‘আমাকে' ও ‘আমার নিজস্ব' ইত্যাদি৷

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, বিষণ্ণ মানুষ প্রায়ই নিজের বিষয়ে অতি সচেতন ও নিজকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন৷ ভাষা-সংস্কৃতি নির্বিশেষে এমনটা দেখা যায়৷ এআই এমন ‘ল্যাংগুয়েজ অফ ডিপ্রেশন' শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে৷ জনাথন ক্রাইডলার বলেন, ‘‘আমরা যে সব চালু প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করি, সেগুলি সব সংস্কৃতি ও প্রেক্ষাপটে একই থাকে৷ মানুষ কী নিয়ে কথা বলছে, সেটা তেমন জরুরি নয়৷ ভাষা কীভাবে তাদের নিজেদের সম্পর্কে ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং কোনো প্রসঙ্গের মধ্যে থাকলে সে সম্পর্কে তাদের ও অন্যান্য মানুষের ধারণা কী, সে সবও বড় বিষয় নয়৷ আমরা সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার প্রতি মনোযোগ দেই৷ ভাবের আদানপ্রদানের ভাষা বা সংস্কৃতি নির্বিশেষে সেই অবস্থা বিরাজ করে৷''

এআই শুধু লিখিত টেকস্ট, সেইসঙ্গে ভয়েস মেসেজও বিশ্লেষণ করে৷ ইউজ কেসের অভাব নেই৷ মানুষ চ্যাটবটের সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান করলে কোম্পানিগুলি ব্যবহারকারীর মানসিকতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে৷ ক্রাইডলার জানান, ‘‘আমাদের প্রযুক্তি সম্প্রতি একটি ক্ষেত্রে বেশ ইন্টারেস্টিংভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে৷ বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত সম্প্রদায়গুলিতে টিকার হার বাড়াতে সাহায্য করাই ছিল সেই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ সেই সম্প্রদায়ের ভাবনাচিন্তা এবং তারা কীভাবে তথ্য গ্রহণ করে, আমাদের এক গ্রাহক তা বোঝার চেষ্টা করছিলেন৷ টিকার উপকার এবং এর থেকে সেই সম্প্রদায়ের কী সুবিধা হতে পারে, সেই বিষয়টি কেন্দ্রে রেখে প্রচার করে তিনি টিকাদানের হার বাড়াতে চাইছিলেন৷''

সেই সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকার চালিয়ে ল্যাংগুয়েজ মডেল ব্যবহার করে এক বিস্তারিত কমিউনিটি প্রোফাইল সৃষ্টি করা হয়েছিল৷ ফলে জনসংখ্যার নির্দিষ্ট এক অংশের জন্য আলাদা করে বার্তা পাঠানো সম্ভব হয়েছিল৷ তাদের নির্দিষ্ট সুবিধা ও উদ্বেগের বিষয়গুলি মাথায় রেখে সেটা করা হয়েছিল৷ সেই প্রক্রিয়া বিজ্ঞাপন ও বিপণনের জন্য প্রথমে কাজে লাগানোর পর আরো ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে৷

নিকোল আলমেইদা/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান