1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ব্যবসা-বাণিজ্যবাংলাদেশ

সরকারকে ব্যাংকের কাছে ঋণ না চাওয়ার পরামর্শ

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মূল্যস্ফীতি আর না বাড়াতে সরকারকে ব্যাংকের কাছ থেকে আর ঋণ না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক৷

https://p.dw.com/p/4NGqm
ছবি: DW

ব্যাংক ব্যবস্থায় তারল্য কমার চাপ  সামলানো আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উভয় সংকটে থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায় আগামীতে ঋণ নিতে বিকল্প উৎসমুখী হোক সরকার৷

সরকারকে ব্যাংকের বিকল্প অর্থায়নের পথে যাওয়ার পরামর্শ এমন সময়ে এল যখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের প্রবাহ বাড়ছে৷ বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে; সাধারণের জীবনযাত্রায় চাপ তৈরি করছে৷

গত নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া ঋণের তথ্য বিশ্লেষণ-মূল্যায়ন করে ‘সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ে' নিয়মিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷

গত রোববার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বিকল্পের কথা বলা হলেও সেগুলো কী তা বলা হয়নি৷ সরকারের হাতে খুব বেশি বিকল্প যে আছে তা নয়৷ এরমধ্যে মূল উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছে; যতটুকু বিনিয়োগ আসছে পরিশোধ করতে হচ্ছে তারও বেশি৷

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জাতীয় সঞ্চয়পত্রের (এনএসসি) পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন৷ তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের পর কান্ট্রি প্রতিবেদনে পর্যায়ক্রমে এনএসসি নির্ভরতা কমাতে বলেছে৷ সরকারও বৈশ্বিক অর্থায়নকারী সংস্থাটির একগুচ্ছ সংস্কার প্রস্তাবসহ আর্থিক ও ব্যাংক খাতের অনেক পরামর্শ মানতে সম্মত হয়েছে৷এতে ব্যাংক থেকে ঋণ কমিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে বাড়ানোর পথে যাওয়ার খুব বেশি সুযোগও থাকছে না সরকারের৷

সঞ্চয়পত্রে যতটুকু বিনিয়োগ আসছে পরিশোধ করতে হচ্ছে তারও বেশি
সঞ্চয়পত্রে যতটুকু বিনিয়োগ আসছে পরিশোধ করতে হচ্ছে তারও বেশিছবি: Mortuza Rashed/DW

 

উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম এমনিতেই মানুষের সঞ্চয়ের ক্ষমতা কমেছে৷ ব্যাংকের আমানত ভেঙে পরিবারের খরচ মেটাতে হচ্ছে অনেককে৷ সঞ্চয়পত্র কেনাবেচার তথ্যও বলছে নতুন করে কেনার তুলনায় ভাঙানোর পরিমাণও কম নয়৷

অপরদিকে সরবরাহ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করায় বাজার থেকে টাকা গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে, যা তৈরি করেছে তারল্য সংকট৷ কলমানির সাম্প্রতিক তথ্যও তাই বলছে৷ চাহিদা মেটাতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছ থেকে উচ্চ সুদে টাকা ধার করছে৷

নভেম্বর পর্যন্ত এসব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়েছে৷ অন্যদিকে নন-ব্যাংক উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার হার কমছে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমে আসায়৷ এ প্রবণতা মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখছে৷ এমন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আগামীতে সরকারের ঋণ চাহিদা মেটাতে ব্যাংক বহির্ভূত উৎসের দিকে বেশি গুরুত্বের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে৷

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘ব্যাংকিং খাতে যে তারল্যের সংকট দেখা দিয়েছে তাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন পরামর্শ দিতে পারে৷ কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়ত চাচ্ছে একস্থানে ঋণ স্তুপ যেন না হয়, বেসরকারি খাতেও যেন ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জিত হয়৷”

উচ্চ সুদের কারণে সরকার আগ থেকেই সঞ্চয়পত্র থেকে সরে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংক বহির্ভূত মানেই হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বাইরে৷ বাংলাদেশ ব্যাংক ওই অর্থে ব্যাংক নয়৷ সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকও সরকারের ঋণের উৎস হতে পারে৷

‘‘যদি তাই হয় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ঋণ দিবে তা নতুন নোট ছাপিয়ে দিতে হবে৷ এই ঋণের সঠিক ব্যবহার হলে মূল্যস্ফীতিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না টাকার সরবরাহ বৃদ্ধিজনিত কারণে৷’’

এছাড়া বিকল্প উৎস হতে পারে বৈদেশিক ঋণ ও পাইপলাইনে থাকা ঋণ দ্রুত ছাড় করে ব্যবহার করা বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ৷

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বর্তমান প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে দুটি বিষয়ের কথা বলেছেন৷

জুলাই-নভেম্বর সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে ৪৯ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা
জুলাই-নভেম্বর সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে ৪৯ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকাছবি: Mortuza Rashed/DW

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট দেখা দিচ্ছে সরকার বেশি ঋণ নেওয়ায়৷ আরেকটি হচ্ছে সরকারকে ঋণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাকা ছেপে বাজারে ছাড়ছে যাকে, হাইপাওয়ার মানি বলা হয়৷ তাতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে ভূমিকা রেখেছে৷’’  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ

অন্য উৎস থেকে না পেয়ে নগদ অর্থের চাহিদা মেটাতে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিয়েছে৷ ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতেই বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের মাসিক এ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের

জুলাই-নভেম্বর সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে ৪৯ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা৷ আগের অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে যা ছিল মাত্র ৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা৷

অপরদিকে আলোচিত সময়ে (জুলাই-নভেম্বর) সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে নিট ঋণ নিয়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা, যা বাজেটে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশ৷ আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ হাজার ২৬১ কোটি টাকার সামান্য বেশি, যা ওই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ৷

বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছরে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে৷ এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৫ কোটি, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য মিলিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা৷

টাকার সরবরাহ বৃদ্ধি

সরকারের প্রয়োজনে কোনো কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ দিতে না পারলে তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা যোগান দেয়৷ এক্ষেত্রে ‘প্রমিজরি নোটের' বিপরীতে নতুন টাকা ইস্যু করে ঋণের যোগান দেওয়া হয়৷ এতে বাজারে টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়, যেটিই মূলত মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেয়

বাজারে টাকার সরবরাহ বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক বিষয়ক আরেক প্রতিবেদনে৷

এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের জুনে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ (কারেন্সি ইন সার্কুলেশন) ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি, যা নভেম্বরে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা৷ অর্থাৎ জুলাই-নভেম্বর সময়ে বাজারে নতুন মুদ্রা বেড়েছে ১৮ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা৷ আগের অর্থবছরের এ সময়ে বেড়েছিল মাত্র ১২৮ কোটি টাকা৷ অপরদিকে গত নভেম্বর শেষে এক বছরে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে ৪৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা৷

বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ পরিস্থিতি

তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন আগের মত সরকারকে ঋণ দিতে পারছে না৷ উল্টো নগদ টাকার চাহিদা পূরণে মেয়াদ শেষ হওয়া সরকারি বন্ড ও ট্রেজারি বিল নগদায়ন করে নিচ্ছে৷ আবার কিছু অংশ বিক্রি করছে৷

গত ১৫ জানুয়ারি মুদ্রানীতি ঘোষণার সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, তারল্য সহায়তা দিতে ২০২২ সালে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকার ট্রেজারি বিল ও বন্ড কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷

২০২২ সালের জুলাই-নভেম্বর সময়ের তথ্যে দেখা যায়, এসময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া অর্থের মধ্যে ২১ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছে৷

নভেম্বর শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৫৮০ কোটি, যা জুন শেষে ছিল তিন লাখ ১২ হাজার ৬২ কোটি৷

এসময়ে সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে সরকার নিট ঋণ নিয়েছে ৩৪ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা, যা বাজেটের লক্ষ্যের ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ৷ গত ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে যা ২০ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি৷ আগের অর্থবছরের এ সময়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের নিট পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা৷

অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে (ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূতসহ) গত নভেম্বর শেষে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৩ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা৷ ২০২১ সালের নভেম্বরে যা ছিল ৬ লাখ ১১ হাজার ৭১২ কোটি টাকা৷

ব্যাংকের তারল্যে টান

নানা কারণে জমার চেয়ে টাকা তুলে নেওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকায় ব্যাংকিং খাতে ২০২২ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে তারল্য কমেছে ৪১ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা৷

জুন শেষে তারল্যের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬৮১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা পাঁচ মাসের ব্যবধানে গত নভেম্বরে নেমেছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫১ কোটি ৮৭ লাখ টাকায়৷

তারল্য সংকটের এ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যই বলছে এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদে ধার নেওয়া অর্থের জন্য ব্যাংকগুলোকে উচ্চ সুদ গুনতে হচ্ছে৷ এরমধ্যে গত নভেম্বরে একাধিকবার ১৪ দিন মেয়াদী কলমানির হার সাড়ে ১০ শতাংশ সুদে উঠেছিল৷

কলমানির উচ্চ হার জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারিতেও বজায় থাকতে দেখা গেছে৷ এরমধ্যে গত ৩ জানুয়ারি স্বল্প মেয়াদী ৫ দিনের জন্য কলমানিতে সুদহার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ উঠেছিল৷ ১৪ দিন মেয়াদী অনেক ঋণের সুদহার ওই মাসে ৯ শতাংশের বেশি ছিল৷ ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের কয়েকদিনও তা ৭ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে ছিল৷ আর বুধবার গড়ে এ হার ছিল ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ৷ 

সঞ্চয়পত্রের অবস্থা

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মূল্যস্ফীতির কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের চেয়ে পুরনোগুলো বেশি ভাঙা হচ্ছে বেশি৷ গত জুলাই-নভেম্বর সময়ে ৩৪ হাজার ৯২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে৷ এসময়ে আসল হিসেবে সরকার পরিশোধ করেছে ৩৬ হাজার ৫৪৫ কোটি কোটি টাকা৷ সুদ দেওয়া হয়েছে ১৯ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা৷ সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমেছে প্রায় ১ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা

নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতি

২০২২ সালের জানুয়ারি শুরু হয়েছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে৷ রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেলে ওই বছর আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতি এক দশকের রেকর্ড ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে পৌঁছায়৷

তবে এরপর থেকে ক্রমেই কমে আসছে মূল্যস্ফীতির পারদ৷ সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে তা ৯ শতাংশের বেশি থাকলেও নভেম্বরে তা থেকে তা নিম্নমুখী হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমেছে৷

হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের পুরোটা সময় সরকার শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিট ঋণ নিয়েছে ১ লাখ ছয় হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা; ডিসেম্বর শেষে স্থিতি ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা৷ ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল মাত্র ১৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা৷ এক বছরের ব্যবধানে নিট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ছয় হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা বা ৭১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ৷

অপরদিকে ব্যাংকিং খাত থেকে এক বছরে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৮১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা বা ৩৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ৷ ২০২২ সাল শেষে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ৩ লাখ ২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা৷ ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ২ লাখ ২১ হাজার ২৪৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য