1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
আইনের শাসনযুক্তরাষ্ট্র

সমঝোতা হলো, দোষ স্বীকার করে মুক্তি আসাঞ্জের

২৫ জুন ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা জুলিয়ান আসাঞ্জের। তিনি দোষ স্বীকার করবেন। নিজের দেশে ফিরতে পারবেন।

https://p.dw.com/p/4hSCS
২০১৯ সালে জুলিনায়ন আসাঞ্জের ছবি।
আসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে চরবৃত্তির অভিযোগ ছিল। ছবি: Victoria Jones/empics/picture alliance

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিচারের মুখোমুখি হবেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। তার ৬২ মাসের কারাদণ্ড হবে। তিনি ইতিমধ্যেই এই সময়টা যুক্তরাজ্যে জেলে কাটিয়েছেন। ফলে এবার তিনি মুক্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়া ফিরতে পারবেন। ইতিমধ্যেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আসাঞ্জ।

গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে মার্কিন আইন ভঙ্গ করার জন্য ক্ষমা চাইবেন জুলিয়ান আসাঞ্জ। উইকিলিকস জানিয়েছে, ''আসাঞ্জ জেল থেকে বেরিয়েছেন। তিনি যুক্তরাজ্যের বাইরে চলে গেছেন।''

সামাজিক মাধ্যমে উইকিলিকস জানিয়েছে, ''বিশ্বজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠনগুলি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়ছেন, আইনসভার সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আসাঞ্জের মুক্তির জন্য যে প্রচার করেছিলেন সেটা জাতিসংঘ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।  তার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।''

বলা হয়েছে, ''এর ফলে মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার জন্য জমি তৈরি হয়েছিল। সেই আলোচনা সফল হয়েছে।''

সমঝোতা নিয়ে যা জানা গেছে

আসাঞ্জ উত্তর মারিয়ানা আইল্যান্ডের আদালতে বুধবার যাবেন। সোমবার নথিপত্র পেশ করা হয়ে গেছে। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তিনি একটিমাত্র আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে নেবেন। জাতীয় প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে গোপনীয় বিষয় ফাঁস করা এবং চক্রান্তের দায় স্বীকার করবেন তিনি।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতার ৬২ মাস মাস কারাদণ্ড হতে পারে। তিনি এই সময়কাল ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যে জেলে কাটিয়েছেন।

দীর্ঘ আইনি লড়াই

২০০৬ সালে আসাঞ্জ উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর এই ওয়েবসাইট হাজার হাজার পাতার মার্কিন সামরিক নথি প্রকাশ করে। তার মধ্যে আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন সামরিক নথিও ছিল। এছাড়া কূটনীতিকরা যে সব বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেসবও ফাঁস করে দেন তিনি।

২০১০ সালে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। আসাঞ্জকে যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে তিনি জামিন পান।

২০১২ সাল তিনি সাত বছর লন্ডনে ইকুয়েডোরের দূতাবাসে কাটান। ধর্ষণের অভিযোগে তাকে যাতে গ্রেপ্তার না করা যায়, তার জন্য এই কাজ করেছিলেন তিনি। আসাঞ্জের আশংকা ছিল, তাকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেখানে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ছিল। পরে সুইডেনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়।

২০১৯ সালে তাকে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপর থেকে তিনি যুক্তরাজ্যের জেলে ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেছেন, ''আসাঞ্জের বিরুদ্ধে মামলাটা দীর্ঘদিন ধরে টেনে যাওয়া হচ্ছে। এভাবে নতুন করে কিছু পাওয়া যাবে না।''

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)