1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সব জমায়েতে আপত্তি নেই জার্মানির শীর্ষ আদালতের

১৭ এপ্রিল ২০২০

জার্মানিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত করতে যে বিধিনিষেধ চালু রয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জমায়েতের অনুমতি দিলো জার্মানির একটি শীর্ষ আদালত।

https://p.dw.com/p/3b3IS
ছবি: Africa Studio - Fotolia.com

‘‘উন্নত স্বাস্থ্য চাই, অধিকার হরণ নয় – ভাইরাস থেকে বাঁচাও, মানুষ থেকে নয়'‘ – এই শিরোনামে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের পাশের শহর গিসেনের একটি গোষ্ঠী। আয়োজক গোষ্ঠীর নাম ‘ট্রাফিক চেঞ্জ ইন অ্যান্ড অ্যারাউন্ড গিসেন'। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যে সমস্ত বিধিনিষেধ চালু আছে তা মেনে নেওয়া কঠিন। উচ্চতর কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

অধিকার, না স্বাস্থ্য – এগিয়ে কে?

বাডেন ভ্যুর্টেমব্যের্গ রাজ্যের সংবিধান বিষয়ক আদালতে এই প্রতিবাদ আয়োজনের বিপক্ষে মত দিলে, কার্লস্রুহেতে অবস্থিত সংবিধান বিষয়ক আদালতের কাছে যান এই গোষ্ঠী। এই আদালতের রায়ে জানানো হয়, জার্মানিতে চালু বিধিনিষেধকে, বিশেষ করে ‘কন্ট্যাক্ট ব্যান'কে, নানাভাবে দেখার অবকাশ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে যাতে বিধিসম্মত জমায়েতের নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ না হয়, সে বিষয়ে জোর দিয়েছে রায়টি।

এর আগে পর্যন্ত, সব ধরনের জমায়েতের ওপরেই জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। সেই জমায়েত বিধি মেনে আয়োজিত হচ্ছে কিনা, তা আলোচনায় আসেনি। কার্লস্রুহের আদালতের ঘোষণা প্রকাশ হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই গিসেনের মেয়র পিটার নাইডেল সংবাদসংস্থা এআরডিকে জানান যে, এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে আর কোনো রকমের আইনি হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে না, নির্বিঘ্নে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজকরা তাদের কাজ করতে পারেন।

কেমন হবে এই প্রতিবাদ?

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিপদ একদিকে। অন্যদিকে, নাগরিকের সম্মিলিত প্রতিবাদ করবার অধিকার। দুই মিলে ১৬ ও ১৭ এপ্রিলের এই প্রতিবাদ কিছুটা অন্য রকম। সর্বোচ্চ ৩০ জনের এই কর্মসূচিতে কেউ বক্তৃতা দেননি। বক্তৃতা শুনতে ভীড়ে ঠাসাঠাসি হতে পারে ভেবেই মোবাইল ফোনে অডিও মেসেজের মাধ্যমে বক্তব্য পাঠানো হয়। অংশগ্রহণকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক পরা ও একে অন্যের থেকে দেড় মিটারের দূরত্ব বজায় রাখার বিধি।

গিসেনে এমন প্রতিবাদের পক্ষে আদালত দাঁড়ালেও মিউনিখে এমনটা হলো না। সেখানে সঠিক সময়ের মধ্যে আদালতের কাছে না পৌঁছতে পারার কারণে বাতিল হয়ে যায় এমনই আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশ।

কেট মার্টার/এসএস