শরণার্থী বাড়ছে, বাড়ছে অপরাধপ্রবণতাও
৩ জানুয়ারি ২০১৮জার্মান সরকারের অর্থে জুরিখের অ্যাপলায়েড সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় লোয়ার স্যাক্সনি প্রদেশে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল৷ সমীক্ষার ফলাফল বলছে, শরণার্থীদের কারণে ওই প্রদেশে অপরাধ ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে৷ পুলিশের কাছ থেকে অপরাধের নথি সংগ্রহ করেই রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে৷ ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের নথিভুক্ত অপরাধ থেকেই এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে৷ দেখা যাচ্ছে, সংঘটিত ঘটনার ৯২ দশমিক ১ শতাংশই ঘটিয়েছেন শরণার্থীরা৷
সমীক্ষা অনুযায়ী, আনুপাতিক হারে জার্মান নাগরিকের তুলনায় দ্বিগুণ হারে অপরাধ কর্মে জড়াচ্ছেন শরণার্থীরা৷ দেখা গেছে, শরণার্থীদের মধ্যে ১৪ থেকে ৩০ বছর বয়সিদেরই অপরাধপ্রবণতা সবচেয়ে বেশি৷ এবং এই বয়সসীমার শরণার্থীরাই গত দু'বছরে লোয়ার স্যাক্সনিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় এসেছেন৷
সমীক্ষায় আরো জানা গেছে, সিরিয়া, ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে যে শরণার্থীরা এসেছেন, তাদের অপরাধপ্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম৷ মূলত উত্তর আফ্রিকা থেকে আসা শরণার্থীদের মধ্যেই অপরাধের প্রবণতা বেশি৷ তবে সমীক্ষাটিতে অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের উল্লেখ নেই কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷ কারণ, এর আগেও এ ধরনের বিষয় নিয়ে গবেষণা হয়েছে৷ শরণার্থী এবং অপরাধপ্রবণতা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য সেখানে উঠে এসেছে৷ ফলে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের অবকাশ আছে৷
২০১৫ সালে আঙ্গেলা ম্যার্কেল শরণার্থীদের জন্য জার্মানির সীমান্ত খুলে দেন৷ ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া এবং সংলগ্ন অঞ্চল থেকে বহু শরণার্থী জার্মানিতে এসে বসবাস করতে শুরু করেন৷
এসজি/এসিবি (ডিপিএ,এআরডি)