1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাইপসিশের মিছিলে ইউক্রেনবিরোধী স্লোগান

১২ অক্টোবর ২০২২

ইউক্রেনবিরোধী এবং ইউক্রেনপন্থিরা একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার সমালোচনায় স্থানীয় প্রশাসন।

https://p.dw.com/p/4I3zX
জার্মানি
ছবি: Bernd März/IMAGO

পূর্ব ইউক্রেনের লাইপসিশে সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সোমবার রাতে মাঝে মধ্যেই লাইপসিশের নির্দিষ্ট এলাকায় বিক্ষোভ হয়। গত সোমবারেও সেভাবেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন কিছু ব্যক্তি। মিডিয়ার এবং সামাজিক মাধ্যমের ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা ইউক্রেনবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে উল্টো ফুটপাথে ইউক্রেনের পতাকা হাতে আরো কিছু আন্দোলনকারী দাঁড়িয়ে পড়েন। তারা ইউক্রেনপন্থি স্লোগান দিতে থাকেন। দুই দলের মধ্যে রীতিমতো বাক-যুদ্ধ হয়। মঙ্গলবার লাইপসিশের প্রশাসন ইউক্রেনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের থেকে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করেন। যা ঘটেছে, তার সামালোচনা করেছেন লাইপসিশের মেয়র।

জার্মানির এনার্জি সংক্রান্ত নীতি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে এদিন প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল , 'শান্তি, স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার।' কিন্তু শেষপর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ইউক্রেনবিরোধী হতে থাকে। ততক্ষণে উল্টোদিকে ইউক্রেনপন্থিরা দেশের পতাকা নিয়ে হাজির হয়ে গেছিলেন।

ইউক্রেনবিরোধীদের স্লোগানে সবচেয়ে বিতর্কিত স্লোগান ছিল, 'জার্মানি থেকে নাজিদের তাড়াতে হবে'। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট একাধিকবার বলেছেন, ইউক্রেনে নব্য নাৎসিরা বসবাস করছে। তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই আক্রমণ। লাইপসিশের বিক্ষোভকারীদের মুখেও সেই একই কথা শোনা গেছে।

জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, তারা সমস্ত ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করেছে। মামলা করার মতো কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। তবে যা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য, অতি বামপন্থি এবং অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠনগুলিই অধিকাংশ সময় সোমবারের বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠনগুলি রাশিয়াপন্থি স্লোগান দেয়। রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। অন্যদিকে, অতি বামপন্থি সংগঠনগুলি মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যসংকটের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আওয়াজ তোলে। তবে গত সোমবারের ঘটনার থেকে প্রায় সমস্ত স্থানীয় রাজনীতিবিদই নিজেদের দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছেন।

লাইপসিশের মেয়র জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা সরাসরি ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। যারা একাজ করেছে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু বলে চিহ্নিত করেছেন মেয়র।

এসজি/জিএইচ (ইপিডি, ডিপিএ)