1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

রাশিয়ায় পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারে ছাড়পত্রের ইঙ্গিত

৩০ মে ২০২৪

ন্যাটোর মহাসচিব এবং ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ নেতাদের পর এবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ইউক্রেনকে নিঃশর্তে পশ্চিমা অস্ত্র প্রয়োগের অধিকারের ইঙ্গিত দিলেন৷ রাশিয়া এমন পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4gRS9
মলদোভার প্রেসিডেন্ট মায়া সান্দুর সঙ্গে করমর্দনের মুহূর্তে ব্লিঙ্কেন
মলদোভা সফরে গিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেছেন নিজস্ব প্রতিরক্ষার স্বার্থেই ইউক্রেনকে নিজ ভূখন্ডের বাইরে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে হবেছবি: Elena Covalenco

পশ্চিমা বিশ্ব থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পেয়েও ইউক্রেন রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার মুখে অসহায় হয়ে পড়ছে৷ এমন পরিস্থিতির জন্য একটি শর্তকে দায়ী করা হচ্ছে, যার আওতায় ইউক্রেন পশ্চিমা অস্ত্র একমাত্র অধিকৃত এলাকায় প্রয়োগ করতে পারে৷ এতকাল রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে সেই অস্ত্র ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ অথচ রাশিয়া সেই দু্র্বলতা কাজে লাগিয়ে সীমান্তের কাছে নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে ত্রেপণাস্ত্র, ড্রোন ইত্যাদি ব্যবহার করে চলেছে৷ ইউক্রেন নিজস্ব ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে বিচ্ছিন্ন হামলার চেষ্টা করেও তেমন সাফল্য পাচ্ছে না৷

ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলেটবার্গ সম্প্রতি ‘দ্য ইকোনমিস্ট' পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পশ্চিমা অস্ত্রের বিনিময়ে ইউক্রেনের উপর চাপানো সেই শর্ত তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ জার্মানিতে রাষ্ট্রীয় সফরে এসে চ্যান্সেলর শলৎসের সঙ্গে যৌথভাবে সেই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷

এবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কণ্ঠেও সেই ইঙ্গিত শোনা গেল৷ বুধবার মলদোভায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের বাইরে কোনো লক্ষ্যবস্তুর উপর মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারে সহায়তা বা উৎসাহ দেয় নি৷ ইউক্রেনকেই নিজস্ব প্রতিরক্ষার স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ ব্লিংকেন বলেন, রাশিয়ার হামলার শুরু থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী মার্কিন প্রশাসন ধাপে ধাপে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা করে এসেছে৷ রাশিয়ার পদক্ষেপের উপরও সেই সহায়তা নির্ভর করেছে৷ উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বর মাসের নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের জয় হলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সামরিক সহায়তা নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে এখনই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য চাপ বাড়ছে৷

খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে ন্যাটো ইউক্রেনের জন্য নতুন সহায়তার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে৷ ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার প্রাগে সে বিষয়ে আলোচনা করছেন৷ মার্কিন নেতৃত্বে ইউক্রেনের জন্য ১,০০০ কোটি ইউরো অংকের যে সহায়তা প্যাকেজ স্থির করা হয়েছে, তার দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোর হাতে হস্তান্তরের বিষয়ে অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে৷ সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হলে ন্যাটো এই প্রথম সরাসরি ইউক্রেনে ‘লিথাল' বা আক্রমণাত্মক অস্ত্র হস্তান্তরের দায়িত্ব নেবে৷

ইউক্রেনের সহায়তায় ন্যাটোর বাড়তি পদক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে রাশিয়া৷ রাশিয়ার ভূখণ্ডে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারে ছাড়পত্র, এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর এবং ন্যাটোর পক্ষ থেকে সরাসরি অস্ত্র সরবরাহের মতো পদক্ষেপের ফলে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে বলে মস্কো সাবধান করে দিচ্ছে৷

এদিকে পরিস্থিতি শান্ত করতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ চীনের উদ্যোগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, চীন বর্তমান সংকটের মূল কারণ দূর করার পক্ষে যে অবস্থান নিয়েছে, রাশিয়া তাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে৷ তবে রাশিয়া এমন প্রস্তাবিত আলোচনার ক্ষেত্রেও ইউক্রেনের ভূখণ্ডে অধিকৃত এলাকার উপর কর্তৃত্বের স্বীকৃতি দাবি করছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ ইউক্রেন শুরু থেকেই সেই প্রস্তাব নাকচ করে আসছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান