1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাশিয়ায় নির্বাচনে জয়ের পথে পুটিনের দল

২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাশিয়ায় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পথে প্রেসিডেন্ট পুটিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া। তবে ভোটে বিরোধীদের আটক করা, ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

https://p.dw.com/p/40Xl6
রাশিয়ায় ভোট দিচ্ছেন এক নারী ভোটদাতা। ছবি: Evgenia Novozhenina/REUTERS

প্রত্যাশিতই ছিল। রাশিয়ার পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ের পথে পুটিনের দল। ভোটগণনা এখনো চলছে। কিন্তু এর মধ্যেই ইউনাইটেড রাশিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে।  

তবে এই ভোটগ্রহণ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। পুটিনের কট্টর বিরোধীদের ভোটে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রাশিয়ার পার্লামেন্ট ডুমার ৪৫০টি আসনের জন্য এই নির্বাচনে মোট ১৪টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। তার মধ্যে ইউনাইটেড রাশিয়া পেয়েছে ৪৬ শতাংশ এবং কমিউনিস্ট পার্টি ২১ শতাংশ।

রোববার সন্ধ্যায় ভোটপর্ব শেষ হওয়ার পর ইউনাইটেড রাশিয়ার নেতারা জানিয়ে দিয়েছিলেন তারাই জয়ী হবেন। সরকারি টেলিভিশন দেখিয়েছে যে, ইউনাইটেড রাশিয়ার নেতারা তাদের সমর্থকদের অভিবাদন গ্রহণ করছেন এবং দাবি করছেন, এটা পুরোপুরি অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট ছিল।

সংসদ নির্বাচন নিয়ে আয়নাবাজি

বিরোধীদের হাল

রাশিয়ার পার্লামন্টের  যখন ভোটগ্রহণ হচ্ছে, তখন পুটিনের কট্টর বিরোধী নাভালনি জেলে ও তার দলকে ভোটে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। অভিযোগ করা হয়েছে, তারা চরমপন্থি। নাভালনির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এমন কোনো নেতা বা দলকে ভোটে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

ইউনাইটেড রাশিয়া বাদ দিয়ে ১৩টা দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তারা কেউই জোরদার বিরোধী নয়। অভিযোগ, বিরোধীরা ভালোভাবেই ভোটের ময়দানে আছে এটা বোঝাতেই ওই দলগুলিকে ভোটে অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। 

নাভালনি তার ব্লগে লিখেছেন, ''যদি ইউনাইটেড রাশিয়া জিততে পারে, তাহলে আরো পাঁচ বছরের জন্য রাশিয়া দারিদ্রে ডুবে থাকবে, আরো পাঁচ বছর চলবে দমন, নিপীড়ন।''

নাভালনির বন্ধুরা ইনস্টাগ্রামে আবেদন করে বলেছিলেন, ''আজই হচ্ছে সেই দিন, যখন আপনাদের রায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।'' 

তবে ক্রেমলিন জানিয়েছেন, বিরোধীদের ভোটে অংশ না নিতে দেয়ার প্রচারটা পুরোপুরি মিথ্যা। কিছু নেতা আইন ভেঙেছিলেন, তাই তারা শাস্তি পেয়েছেন, এটাই আসল কথা।

নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন. তারা ৭৫০টি অভিযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ভোটের ফল বদলে দেয়ার মতো গুরুতর কোনো অভিযোগ পাননি।

কিন্তু ভোট পর্যবেক্ষক সংস্থা গোলোস অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, তাদের তালিকায় তিন হাজার ৬০০টি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি অভিযোগের ছবি বা ভিডিও আছে। বহু জায়গায় প্রার্থী ও পর্যবেক্ষকদের অধিকারভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে।

নাভালনির অ্যাপ

নাভালনি শিবির একটা কৌশল নিয়েছিল। তারা একটা স্মার্ট ভোটিং অ্যাপের মাধ্যমে সমর্থকদের জানাচ্ছিলেন, কোন বিরোধী প্রার্থী ইউনাইটেড রাশিয়ার প্রার্থীকে হারাতে পারবেন। কিন্তু শুক্রবার থেকে এই অ্যাপ বন্ধ করে দেয়  অ্যাপল, টেলিগ্রাম ও গুগল।

ডিডাব্লিউর মস্কো প্রতিনিধি এমিলি শেরউইন জানিয়েছেন, যে সব বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দেয়ার কথা ওই অ্যাপের মাধ্যমে বলা হয়েছিল, তারা জিততে পারলেন কি না, সেটাই দেখার। তিনি জানিয়েছেন, কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিতীয় হয়েছে। তারা সম্ভবত এই বিরোধী ভোটের একটা বড় অংশ পেয়েছে। 

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, রয়টার্স)