গভর্নরকে আটক করলো বিদ্রোহীরা
৫ মার্চ ২০১৩দু বছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়৷ শুরু থেকেই চলছে মৃত্যুর মিছিল৷ জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে মারা গেছে ৭০ হাজার মানুষ৷ মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করা, তারপর সিরিয়ায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যের পথে খুব বড় সাফল্য বিদ্রোহীরা এতদিন পায়নি বললেই চলে৷ মঙ্গলবার পেলো৷ উত্তরের রাজ্য রাকা শুধু বিদ্রোহীরা দখলই করেনি, রাজ্যের গভর্নর হাসান জলিলি এবং সুলেইমান সুলেইমানকেও করেছে আটক৷ ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজরভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে এ খবর৷ বিদ্রোহীদের অপেশাদার হাতে করা একটা ভিডিও টেপ হাতে পেয়েছে তারা৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, গভর্নরকে ঘিরে বসে আছে বিদ্রোহীরা৷ এক বিদ্রোহী বলছেন, ‘‘আমরা চাই অপশাসনের অবসান৷''
সিরিয়ান অবজরভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক রামি আবদেল রহমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘বিদ্রোহীরা এর আগে এত বড় কোনো কর্মকর্তাকে আটক করেনি৷ গভর্নরের দুর্নীতির জন্য রাকা অনেক ভুগেছে৷'' তবে প্রেসিডেন্ট আসাদ এরই মাঝে করে চলেছেন যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার দাবি৷ তাঁর দাবি,‘‘সিরিয়ার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র শেষ হতে চলেছে৷'' মঙ্গলবার লেবাননের দৈনিক আল আখবারে প্রকাশিত এক খবরে ছাপা হয়েছে আসাদের এই বক্তব্য৷
এদিকে রাকা বিদ্রোহীরা দখলে নিলেও আসাদের অনুগত বাহিনী তা পুনর্দখলের চেষ্টা শুরু করছে৷ সেখানে নতুন করে সেনা দল পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজরভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷ যুদ্ধ শুরুর আগে রাকা রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ২ লাখ চল্লিশ হাজারের মতো৷ যুদ্ধ শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে রাজ্য ছেড়ে গেছেন ৮০ হাজার মানুষ৷ এখনো রাজ্য ছাড়ছেন অনেকেই৷ মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন৷
যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে, জানমালের ক্ষতি বাড়ছে৷ যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ করতে অস্ত্র সাহায্য দাবি করে আসছে বিদ্রোহীরা৷ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি এমন সম্ভাবনা আবারো নাকচ করে দিয়েছেন৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো সফর করছেন তিনি৷ সৌদি আরব সফরের সময় রিয়াধে তিনি বলেছেন, বিদ্রোহীদের অন্য ধরনের সহায়তা দিলেও অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র৷ প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেছেন তিনি৷ অনির্ধারিত এ বৈঠকে যোগ দিতে কোনো ঘোষণা ছাড়াই রিয়াদে গিয়েছেন আব্বাস৷
এসিবি/এসবি (এএফপি)