1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোদী-বিরোধী জোট গড়তে প্রথম বৈঠক

২২ জুন ২০২১

নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যের প্রয়াস শুরু করে দিলেন শরদ পাওয়ার, যশবন্ত সিনহারা। দিল্লিতে যশবন্তের সংগঠনের বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা হবে।

https://p.dw.com/p/3vJUa
মহারাষ্ট্রে বিজেপ-বিরোধী জোটের রূপকার শরদ পাওয়ার এবার জাতীয় স্তরে জোট চাইছেন। ছবি: Getty Images/AFP

দিন কয়েক আগেই সাবেক অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ডিডাব্লিউকে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি-র একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী দলের একজন প্রার্থী দাঁড় করানো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনিও বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। সেই প্রয়াস আরো একটু এগিয়ে গেল। মঙ্গলবারই শরদ পাওয়ারের ডাকে সমবেত হচ্ছেন বেশ কিছু নেতা ও বুদ্ধিজীবী। এই বৈঠক হবে যশবন্ত সিনহার সংগঠন রাষ্ট্রমঞ্চের ব্যানারে।

এই বৈঠকের প্রস্তুতি হিসাবে যশবন্ত ও শরদ পাওয়ারের মধ্যে সোমবার কথা হয়েছে। তাছাড়া ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর বা পিকে-র সঙ্গে তিনঘণ্টার বৈঠক হয়েছে শরদ পাওয়ারের। এই নিয়ে চলতি মাসে দুইবার শরদ পাওয়ার-পিকে কথা হলো। সূত্র জানাচ্ছে, বিরোধী জোট গড়া নিয়েই পাওয়ার বিস্তারে আলোচনা করেছেন পিকে-র সঙ্গে।

শরদ পাওয়ার একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এটা তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নয়। মঙ্গলবার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরা বিতর্ক করবেন। আলোচনা হবে।

বৈঠকে সাবেক সাংসদ কেটিএস তুলসী, জাভেদ আখতার, সাবেক নির্বাচন কমনিশনার এস ওয়াই কুরেশি, সাংবাদিক প্রীতীশ নন্দী ও আশুতোষ, আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা থাকবেন। থাকতে পারেন ওমর আবদুল্লা, এনসিপি নেতা নবাব মালিকের মতো কিছু নেতা। কংগ্রেসের কপিল সিবালও আমন্ত্রিত। তবে তিনি নাও যেতে পারেন।

শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ''বৈঠকে শিবসেনা, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, তেলুগু দেশম থাকবে না। এই দলগুলিকে বাদ দিয়ে বিরোধী ঐক্য হতে পারে না। তবে হতে পারে এটা একেবারেই প্রথম প্রয়াস।''

যশবন্ত ডিডাব্লিউ-কে জনিয়েছিলেন, তিনি সব আঞ্চলিক দলকে একজোট করতে চান। তিনি চান সেখানে কংগ্রেসও যোগ দিক। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা চলছে। আর এই প্রয়াসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় ভূমিকা নিতে পারেন।

ফলে তৃতীয় বা চতুর্থ বিকল্প নয়, বরং নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রধান বিকল্প গড়ে তুলতে চাইছেন তারা। লোকসভা নির্বাচনের বছর তিনেক আগে থেকেই তাই তারা সক্রিয় হয়েছেন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)