1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে সংঘর্ষের ‘তদন্ত’ আহ্বান করল সেনাবাহিনী

১০ অক্টোবর ২০১১

মিশরের রাজধানী কায়রোতে সেনাদের সঙ্গে খ্রিষ্টানদের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৪ ব্যক্তি৷ সেদেশের ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদ এই ঘটনার দ্রত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/12p8p
ছবি: dapd

মিশরে সেনাদের সঙ্গে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সংঘর্ষ

কপটিক খ্রিষ্টান, মানে প্রাচীন মিশরীয়দের বংশোদ্ভূত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়৷ মিশরের সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ের একটি গির্জা কিছুদিন আগে পুড়িয়ে দেয় একটি মহল৷ আসওয়ান প্রদেশে সেই হামলার প্রতিবাদে সরব হয় তারা৷ সেই প্রদেশের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বিরুদ্ধেও খ্রিষ্টধর্মবিরোধী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ ছিল তাদের৷ রবিবার তাই কায়রোর উত্তরের শহর সুবরা থেকে মাসপেরো চত্বরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় টেলিভশন ভবনের দিকে বিক্ষোভ করে অগ্রসর হচ্ছিল খ্রিষ্টানরা৷ প্রতিবাদকারীদের দাবি, প্রথমে সাদা পোশাকের কিছু মানুষ তাদের বিক্ষোভে বাধা দেয়৷ এরপর রাস্তায় নামে সেনারা৷ সংঘর্ষের সময় তৃতীয় একটি পক্ষ উভয় দিকেই উস্কানি দিয়েছে বলেও অভিযোগ খ্রিষ্টান প্রতিবাদকারীদের৷ এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৪ ব্যক্তি প্রাণ হারায়৷ নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই খ্রিষ্টান৷

Ausschreitungen in Ägypten Flash-Galerie
আবারো অশান্ত মিশরছবি: AP

সেনাবাহিনীর মন্তব্য

মিশরের সামরিক বাহিনী রবিবারের ঘটনার দ্রুত তদন্তের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে৷ এই ঘটনায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনারও দাবি তুলেছে সেনারা৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী আরো জানিয়েছে, সেদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেকোন উদ্যোগই নেবে তারা৷ একইসঙ্গে ভবিষ্যতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও চলবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী৷ রবিবারের সংঘর্ষের পর কায়রোর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ সেদেশের সংসদ ভবন এবং মন্ত্রী পরিষদের সামনে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷

আন্তর্জাতিক সমাজের অবস্থান

মিশরে সংঘর্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সমাজ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন মিশরের ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, আরব বসন্তে মিশরে গণতন্ত্রের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেদেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে মিশরে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং সহিংসা কিংবা ধর্মীয় সংঘাত সেদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন৷

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর মিশরের সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথা রয়েছে৷ সেই নির্বাচনের আগে এই সহিংসতা ভাবিয়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক সমাজকে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য