1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত কায়রো ছাড়লেন

১০ সেপ্টেম্বর ২০১১

শুক্রবার রাতে কায়রোয় ইসরায়েলি দূতাবাসের উপর ক্ষিপ্ত জনতার অভিযানের পর সেদিন রাতে এবং শনিবার সকালেও জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ চলেছে৷ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত কায়রো পরিত্যাগ করে বিমানযোগে তেল আভিভে এসেছেন৷

https://p.dw.com/p/12WeP
Egyptian activists celebrate as they demolish a concrete wall built around a building housing the Israeli embassy in Cairo, Egypt, to protect it against demonstrators Friday, Sept. 9, 2011. Hundreds of Egyptian protesters tore down parts of a graffiti-covered security wall that had recently been put up near the entrance of the Israeli Embassy in Cairo. Egyptian security forces did not intervene as crowds climbed the embassy security wall, pummeled it with hammers and tore away large sections of the barrier. (Foto:Khalil Hamra/AP/dapd)
কায়রোর ইসরায়েলের দূতাবাসে হামলাছবি: dapd

রাষ্ট্রদূত ইটঝাক লেভানন তাঁর পরিবারের লোকজন এবং দূতাবাসের কিছু কর্মীকে নিয়ে একটি বেসরকারি বিমানে দেশে ফিরেছেন৷ কিন্তু কায়রোর দূতাবাসের উপর জনতার রোষ এবার যে আকার ধারণ করেছে, তা এর আগে দূতাবাস ভবনটির ছাদে চড়ে ইসরায়েলের পতাকা নামানো ইত্যাদি ঘটনাকেও ছাড়িয়ে গেছে৷ গতমাসে ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে পাঁচজন মিশরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হওয়ার পর থেকেই মিশরে ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব মাথা চাড়া দিয়েছে৷ বলতে কি, তথাকথিত আরব বসন্তের এই দিকটি গোড়া থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল৷ এখন তা বাস্তবে পরিণত হচ্ছে৷

তিনজন নিহত, এক হাজারের বেশি আহত৷ আহতদের মধ্যে ৪৬ জন পুলিশ এবং সৈন্য৷ শুক্রবার প্রতিবাদকারিরা দূতাবাসের বহুতল ভবনটির সামনের নিরাপত্তা প্রাকারটি হাতুড়ি ও কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ভেঙে ভিতরে ঢোকে, দূতাবাসে ঢুকে ইসরায়েলের পতাকা সরিয়ে মিশরের পতাকা ওড়ায়, দূতাবাসের বহু - প্রধানত অ-গোপনীয় - নথিপত্র লুটপাট করে৷ বাইরে তাদের পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরাতে দেখা যায়৷ কাছের একটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সও আক্রান্ত হয়৷

A protester holds an Egyptian national flag as a fire rages outside the building housing the Israeli embassy in Cairo, Egypt, Friday, Sept. 9, 2011. Hundreds of Egyptian protesters, some swinging hammers and others using their bare hands, tore down parts of a graffiti-covered security wall outside the embassy on Friday. Thousands elsewhere protested for the first time in a month against the country's military rulers. (AP Photo)
ছবি: AP

এখন শোনা যাচ্ছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাষ্ট্রদূতকে জরুরি আলাপ-আলোচনার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন৷ অপরদিকে নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং প্রেসিডেন্ট ওবামা ‘‘বিপুল উদ্বেগ'' প্রকাশ করেছেন৷ কিন্তু আসল উদ্বেগ হল মিশর সরকারের৷ স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী মনসুর আল-ইসাওয়ি উচ্চ সতর্কতা ঘোষণা করে সব পুলিশকর্মীর ছুটি বাতিল করেছেন৷ অর্থাৎ তিনি আগামীতেও এ'ধরনের ইসরায়েল বিরোধী ঘটনার আশঙ্কা করছেন৷ ওদিকে মিশরীয় প্রধানমন্ত্রী এসাম শরফ মন্ত্রীসভার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন৷ আরো বড় কথা: সরকারি আল-আহরম দৈনিক তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে যে, সরকার নাকি এই সহিংসতা রোধের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার দরুণ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন৷

জনতা শুক্রবার সারারাত ধরে চোর-পুলিশ খেলার মতো পুলিশকে ব্যস্ত রেখেছে: এদিকে টায়ার পোড়ানো হয়েছে, ওদিকে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস চালিয়েছে৷ পর্যবেক্ষকদের মতে জনতা পুলিশের ধৈর্য এবং ক্ষমতা, দুটোই পরীক্ষা করে দেখছে৷ অপরদিকে মিশর-ইসরায়েল সম্পর্কের একটা নতুন মূল্যায়নও এ'ভাবে ধীরে-ধীরে অবধারিত হয়ে উঠছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান