1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জার্মানিতে মামলা

২৪ জানুয়ারি ২০২৩

জার্মানির ফেডারেল পাবলিক প্রসিকিউটর জেনারেলের কাছে মামলাটি দায়ের করা হয়। অভিযোগকারীরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনে সার্বজনীন আইনগত এখতিয়ারের অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

https://p.dw.com/p/4MdRH
মিয়ানমারের জেনারেলদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলছে। গণহত্যার একটি মামলাও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারাধীন।
মিয়ানমারের জেনারেলদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলছে। গণহত্যার একটি মামলাও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারাধীন।ছবি: REUTERS

মানবাধিকার গ্রুপ ফোর্টিফাই রাইটস এবং মিয়ানমারের ১৬ জন নাগরিক সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেছে। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত এই ১৬ জনের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা, প্রভাবশালী বর্মী ও সংখ্যালঘু চিন সম্প্রদায়সহ মিয়ানমারের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সদস্য।

২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে সরকার উৎখাত হওয়ার পর এবং ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দমন-পীড়নের সময় দেশটির সেনাবাহিনী যে সকল অপরাধ সংঘটিত করেছে তারা তার বিচার দাবি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্রে যা বলা হয়েছে

মামলার নেতৃত্ব দানকারী গ্রুপ ফোর্টিফাই রাইটসের মতে, ২১৫ পৃষ্ঠার যে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে সেটা লেখা হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে মানবাধিকার গোষ্ঠীটির পরিচালিত এক হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ফাঁস হওয়া রেকর্ডের ওপর ভিত্তি করে।

অভিযোগকারীরা মনে করেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পরিকল্পিতভাবে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, কারারুদ্ধ, গুম এবং নির্যাতন, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের শামিল।

মামলাটি অধীনে জার্মানির ফেডারেল পাবলিক প্রসিকিউটর জেনারেলের কাছে দায়ের করা হয়েছে, যা যে কোনো স্থানের গুরুতর অপরাধ বিচারের অনুমতি প্রদান করে।

ফোর্টিফাই রাইটসের বোর্ডের সদস্য নিকি ডায়মন্ড বলেন, "মিয়ানমারে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং সামরিক বাহিনী ও তার নেতাদের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আমরা জার্মানির প্রতি আস্থা রাখি।"

তদন্ত চলছে

জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউটরের কার্যালয় মামলাটির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মামলাটি আদালতে যাওয়ার আগে প্রসিকিউটর অফিস অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

মিয়ানমারের জেনারেলদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলছে। গণহত্যার একটি মামলাও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারাধীন।

এছাড়াও মানবাধিকার কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টরা আর্জেন্টিনা এবং তুরস্কের জাতীয় আদালতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও এর কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেছে।

২০২২ সালের ছবিঘর

একেএ/ এসিবি (এপি, এএফপি)