1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজমিয়ানমার

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা চলবে: আইসিজে

২২ জুলাই ২০২২

রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সরকারের গণহত্যার অভিযোগে করা মামলা চলতে কোনো বাধা নেই বলে রায় দিয়েছে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত- আন্তর্জাতিক বিচার আদালত- আইসিজে৷

https://p.dw.com/p/4EX4X
রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সরকারের গণহত্যার অভিযোগে করা মামলা চলতে কোনো বাধা নেই বলে রায় দিয়েছে আইসিজে৷
ছবি: DW/A. Islam

নেদারল্যান্ডসের অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা গাম্বিয়ার মামলার বিচারকার্য অব্যাহত থাকবে৷ আইসিজে সভাপতি জোন ডনেহু জানিয়েছেন, গাম্বিয়ার আবেদনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার আইনগত এখতিয়ার এই ট্রাইব্যুনালের রয়েছে৷ এই বিষয়ে একমত হয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা৷

তিন বছর আগে করা মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ২০১৭ সালে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনে গাম্বিয়া৷ নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের পিস প্যালেসে ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর মামলাটির শুনানি হয়৷ শুনানিতে গাম্বিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন সে দেশের বিচারমন্ত্রী আবু বকর মারি তামবাদু আর মিয়ানমারের নেতৃত্বে ছিলেন তখনকার দেশটির সরকারের প্রতিনিধি নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সুচি

শুনানিতে অংশ নিয়ে মিয়ানমার গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকারের পাশাপাশি আদালতে এই মামলা চলতে পারে না বলে দাবি করে এসেছে৷ তাদের যুক্তি,গাম্বিয়া রাষ্ট্র হিসেবে নয় ৫৭ দেশের জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন-ওআইসি এর ‘ছায়া' হয়ে এই মামলা করেছে৷ যেখানে আইসিজে এর নিয়ম অনুযায়ী শুধু রাষ্ট্রই মামলা করতে পারে, কোনো জোট নয়৷

মিয়ানমারের আরেকটি যুক্তি ছিল গণহত্যার অভিযোগে গাম্বিয়া সরাসরি কোন পক্ষে যুক্ত নয়৷ সেইসঙ্গে মিয়ানমার নিজেরাও জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন সম্পূর্ণ না মানায় আদালতের এই মামলা চালানোর এখতিয়ার নেই৷ তবে আইসিজে এর বিচারকরা মিয়ানমারের যুক্তিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ এক্ষেত্রে গাম্বিয়ার দেয়া যুক্তিগুলো গ্রহণ করে  মামলা চলমান রাখার বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন৷ শুক্রবার এই রায় আসে দীর্ঘ শুনানির পরে৷

এর আগে ২০২০ সালে আইসিজে-তে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলায় গাম্বিয়াকে সহায়তা করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ক্যানাডা ও নেদারল্যান্ডস৷ রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারে চালানো সহিংসতাকে গত মার্চে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন৷

এফএস/এসিবি (এএফপি)

২০১৯ সালের ছবিঘর দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান