1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিষের উৎস এখনো ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের অজানা

৪ এপ্রিল ২০১৮

ডাবল এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপালের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত বিষ ঠিক কোন দেশ থেকে এসেছে, ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা তা শনাক্ত করতে পারেননি৷ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ধরে নিয়েছিলেন, বিষের উৎস রাশিয়া বলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ হবে৷ 

https://p.dw.com/p/2vRtO
Großbritannien Friedhof in Salisbury | Untersuchung Grab von Ludmilla Skripal
ছবি: Reuters/P. Nicholls

ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর পোর্টন ডাউন ল্যাবরেটরি মঙ্গলবার ঘোষণা করে,  সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর কন্যার বিরুদ্ধে যে স্নায়ুর বিষ ব্যবহার করাহয়েছে, তার সঠিক উৎস নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি৷

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গত মার্চ মাসে ডয়চে ভেলেকে প্রদত্ত  সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, বিষ যে রাশিয়া থেকে এসেছে, পোর্টন ডাউনের কাছে তার প্রমাণ আছে৷

সামরিক পর্যায়ের স্নায়ুর বিষ

পোর্টন ডাউনের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষাগারের মুখ্য কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি এইটকেনহেড স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন:

-    ‘‘বিষটি নভিচক নামের একটি সামরিক পর্যায়ের  স্নায়ুর বিষ বলে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি৷''

-     ‘‘বিষের সঠিক উৎস আমরা নির্ধারণ করতে পারিনি, তবে আমরা সরকারকে সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রদান করেছি৷ অতঃপর সরকার সেই তথ্য অপরাপর সূত্রের সঙ্গে জুড়ে তাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন৷'' 

-    ‘‘এই বিষ তৈরির জন্য অত্যন্ত জটিল পদ্ধতির প্রয়োজন, যা শুধুমাত্র একটি রাষ্ট্রের পক্ষেই করা সম্ভব৷''

-    ‘‘আমরা অতিরিক্ত তথ্য আহরণের জন্য কাজ করে চলেছি, যা হয়তো আমাদের (বিষের উৎস) নির্ধারণে সাহায্য করবে; কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা তা করতে সমর্থ হইনি৷''

বরিস জনসনের দাবি

 গত মাসে বরিস জনসনডয়চে ভেলেকে প্রদত্ত একটি একক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ওরা (পোর্ট ডাউনের বিজ্ঞানীরা) একেবারে নিশ্চিত ছিলেন – আমি নিজে (সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীকে) জিজ্ঞাসা করেছি: ‘আপনি কি নিঃসন্দেহ?' এবং তিনি বলেন, কোনো অনিশ্চয়তা নেই৷ আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তা নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প ছিল না৷''

জরুরি বৈঠক

রাসায়নিক সমরাস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন জানিয়েছে যে, রাশিয়ার অনুরোধে বুধবার দ্য হেগ-এ ওপিসিডাব্লিউ-এর একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন আংকারায় বলেছেন যে, স্নায়ুর বিষটির উৎস নির্ধারণ করা সম্ভব না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ‘‘তড়িঘড়ি রাশিয়ার বিরুদ্ধে (প্রচার) অভিযান সত্যিই বিস্ময়ের সৃষ্টি করে৷'' পুটিন বলেন যে, ঐ স্নায়ুর বিষ প্রায় ২০টি দেশে উৎপাদিত হয়ে থাকতে পারে৷

আয়ারল্যান্ডে রুশ রাষ্ট্রদূত ইউরি ফিলাটভ বলেছেন, যুক্তরাজ্য যদি রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ না দিতে পারে, সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, পুরো ঘটনাটি ‘‘রাশিয়ার সুনামহানি করার উদ্দেশ্যে লন্ডনের সংগঠিত একটি বড় আকারের প্ররোচনা৷''

স্ক্রিপাল ও তাঁর কন্যার উপর আক্রমণের জন্য রাশিয়াই দায়ী, এই ধারণার ভিত্তিতে ব্রিটেনের বহু মিত্রদেশ ডজন ডজন রুশ কূটনীতিক ও গুপ্তচরদের বহিষ্কার করেছে৷

এসি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)