1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি রোগীদের চিকিৎসার খরচ দেবে জার্মানি

২০ এপ্রিল ২০২০

করোনা সংকটের জের ধরে ইইউ দেশগুলি থেকে যেসব রোগীকে জার্মানিতে আনা হয়েছে, তাঁদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে জার্মান সরকার৷ ভবিষ্যতে আরো এমন রোগী এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন৷

https://p.dw.com/p/3bBL1
Deutschland Corona-Pandemie | PK Spahn
ছবি: picture-alliance/AP Images/J. MacDougall

করোনা সংকটের জের ধরে ইউরোপের অনেক দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷ অনেক হাসপাতালে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট জায়গা বা সরঞ্জামের অভাব দেখা যাছে৷ ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য চিকিৎসাকর্মী মাস্ক ও অন্যান্য সুরক্ষার অভাবে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না অথবা নিজেরাই দ্রুত আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন৷

এমন প্রেক্ষাপটে ইইউ দেশগুলি থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিছু মানুষকে জার্মানিতে চিকিৎসার জন্য আনা হচ্ছে৷ বিশেষ করে ফ্রান্স থেকেই বেশি রোগী জার্মানিতে এসেছেন৷ কিন্তু তাদের চিকিৎসার খরচ সম্পর্কে এতকাল কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল৷ সোমবার জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেছেন, সৌহার্দ্যের চিহ্ন হিসেবে জার্মানি সেই ব্যয়ভার বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত মোট ২২৯ জন বিদেশি রোগীকে জার্মানিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যে ১৩০ জন ফ্রান্স, ৪৪ জন ইটালি ও ৫৫ জন নেদারল্যান্ডস থেকে এসেছেন৷ জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এঁদের চিকিৎসার জন্য প্রায় ২ কোটি ইউরো খরচ হয়েছে৷ তাঁর মতে, ইউরোপীয় স্তরে সংহতির স্বার্থে জার্মানি সেই ব্যয়ভার বহন করছে৷ তাছাড়া জার্মানি ভবিষ্যতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরো রোগী গ্রহণ করতে সক্ষম ও উৎসুক বলে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন৷ বিশেষ করে জার্মানিতে সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় অবকাঠামোর উপর চাপ কমছে৷ রবিবার হাসপাতালে ১২,৬০০টি বেড খালি ছিল৷

সোমবারের হিসেব অনুযায়ী, জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত মোট মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৪০,০০০ পেরিয়ে গেছে৷ মৃতের মোট সংখ্যা ৪,৪০৪৷ সে তুলনায় স্পেন, ইটালি ও ফ্রান্সে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক বেশি৷

পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি সত্ত্বেও জার্মানি সতর্ক থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান বলেন, বিধিনিয়ম শিথিল করার যে সিদ্ধান্ত সোমবার থেকে কার্যকর করা হচ্ছে, সরকার তার প্রভাবের উপর কড়া নজর রাখছে৷ তিনি জানান, আগামী ৩০শে এপ্রিল পরিস্থিতি নতুন করে মূল্যায়ন করা হবে৷ বাধ্যতামূলক না করলেও ফেডারেল সরকার ট্রামে-বাসে ও কেনাকাটার সময় মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছে৷ 

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য