1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিব্রাজিল

বলসোনারোর হাঙ্গেরির দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে তদন্ত শুরু

২৬ মার্চ ২০২৪

বলসোনারো হাঙ্গেরির দূতাবাসে দুইদিন গিয়ে ছিলেন। ব্রাজিলের পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে।

https://p.dw.com/p/4e77p
ব্রাজিলে হাঙ্গেরির দূতাবাস।
ফেব্রুয়ারিতে হাঙ্গেরির এই দূতাবাসে দুইদিন ছিলেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো ছবি: EVARISTO SA/AFP

বলসোনারোর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। বলসোনারো দুইদিন হাঙ্গেরির দূতাবাসে ছিলেন। পুলিশ তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে।

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বলসোনারোর সম্পর্ক বেশ ভালো। ২০২২ সালে হাঙ্গেরি সফরের সময় বলসোনারো তাকে 'ভাই' বলে সম্বোধন করেছিলেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অর্বানও দক্ষিণপন্থি নেতা। ব্রাজিলের  এই অতি-দক্ষিণপন্থি রাজনীতিক ফেব্রুয়ারিতে বিদেশি দূতাবাসে আশ্রয় নেয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে অভিযোগ।

তদন্ত নিয়ে যা জানা গেছে

নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছিল,  সিকিউরিটি ফুটেজ দেখা গেছে. বলসোনারো হাঙ্গেরির দূতাবাসে ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিলেন।

ব্রাজিলের পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের নির্বাচনের পর বলসোনারো সেই ফলাফল মানতে চাননি। তিনি ভোটের ফল বদলে দেয়ার চেষ্টা করেন এবং ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ।পুলিশ বলসোনারোর ব্রাজিল ও ইটালির পাসপোর্ট আটক করার পরই তিনি হাঙ্গেরির দূতাবাসে আশ্রয় নেন।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলসোনারোর দুই ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি করেছে এবং সেখান থেকে নথিপত্র আটক করেছে।

বলসোনারোর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হাঙ্গেরির দূতাবাসে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন, তিনি গ্রেপ্তারি এড়ানোর জন্য যাননি।

তারা জানেয়েছেন, বলসোনারো হাঙ্গেরির দূতাবাসের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি দুই দেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন।  অন্য যে সব কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাস্তব অবস্থার কোনো যোগ নেই।

ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন, কেন বলসোনারো দূতাবাসে ছিলেন।

গত বছর ব্রাজিলের আদালত রায় দিয়েছে, ২০৩০ পর্যন্ত তিনি কোনো পদে থাকতে পারবেন না। কারণ, তিনি ২০২২-এর নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলার কাছে পরাজিত হওয়ার পর ভুল তথ্য প্রচার করেছিলেন। 

গত ১৯ মার্চ ব্রাজিলের পুলিশ অভিযোগ করে, বলসোনারো তার করোনার টিকা সংক্রান্ত রেকর্ডে জালিয়াতি করেছিলেন।

দুই সপ্তাহ আগে ব্রাজিলের সেনা ও বিমানবাহিনীর প্রধান জানিয়েছিলেন, বলসোনারো তাদের সঙ্গে একটা খসড়া ডিক্রি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, লুলার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে না।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)