1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তান বিহীন আফগানিস্তান সম্মেলন গুরুত্ব হারাতে পারে: বিশ্লেষক

গ্রেহেম লুকাস/আব্দুল্লাহ আল-ফারূক১ ডিসেম্বর ২০১১

বন শহরে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবার ঠিক আগে ইসলামাবাদ জানিয়ে দিল যে তারা এই সম্মেলনে যোগ দেবে না৷ পাকিস্তানের অনুপস্থিতিতে এই সম্মেলন তাৎপর্যহীন হয়ে পড়ার হুমকি দেখা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/13JkP
Afghanistan's President Hamid Karzai, left, shakes hands with Pakistani Prime Minister Yousuf Raza Gilani at the prime minister's residence in Islamabad, Pakistan on Thursday, March 11, 2010. Karzai said Pakistan has an "important" role to play in peace talks with the Taliban. (AP Photo/B.K.Bangash)
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য গিলানির সাথে কথা বলেন কারজাইছবি: AP

পাকিস্তান মনে করে, তার ভূখণ্ডে ন্যাটোর সাম্প্রতিকতম বিমান হামলার ঘটনায় তার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হয়েছে৷ হামলায় ২৪ জন পাকিস্তানি নিহত হয়৷ এর প্রতিক্রিয়ায় বহু বড় বড় শহরে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের গণবিক্ষোভ হয়েছে৷ ইসলামাবাদ সরকার দ্রুত ব্যববস্থা নেয়৷ করাচি থেকে আফগানিস্তানে যাওয়ার যে-সব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ন্যাটোর জন্য সরবরাহ যায়, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়৷ বেলুচিস্তানে বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছেনা৷ সেখান থেকেই মার্কিন ড্রোন বিমানের হামলা হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে৷

এর আগেও দু'পক্ষে মন কষাকষির সময় এধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়৷ তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক যাতে নষ্ট না হয় সেদিকটা মাথায় রেখে তা আবার তুলেও নেয়া হয়৷ কিন্তু এবার উত্তেজনার পরিস্থিতি বেশ ছড়িয়ে পড়তে দেয়া হল৷

Pakistan boykottiert Afghanistan-Konferenz in Bonn ARCHIV- Pakistaner in Hyderabad treten auf die Amerikanische Flagge und demonstieren mit einem Plakat gegen den Nato-Luftangriff (Archivfoto vom 27.11.2011). Aus Protest gegen den Nato-Luftangriff auf pakistanische Militärposten will Pakistan die Afghanistan-Konferenz in Bonn boykottieren. Pakistan werde an dem Treffen am kommenden Montag nicht mehr teilnehmen, erfuhr die Nachrichtenagentur dpa am Dienstag aus dem Büro des Premierministers in Islamabad. Eine entsprechende Erklärung werde demnächst veröffentlich. EPA/NADEEM KHAWER +++(c) dpa - Bildfunk+++
ন্যাটো হামলায় পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভছবি: picture alliance/dpa

আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানের স্বার্থ কম নয়৷ পশ্চিমের সৈন্য সরিয়ে নেয়ার পর আফগানিস্তানে তার প্রভাব সে নিশ্চিত করতে চায়৷ যাতে সীমান্ত এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়৷ ভারতের সঙ্গে আর একটা যুদ্ধ হলে যাতে ঐ এলাকায় সৈন্য সরিয়ে নেয়া যেতে পারে৷ তাছাড়া পাকিস্তান চায়না ভারত কাবুলের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক আরো জোরদার করুক এবং পাকিস্তানকে কূটনৈতিক চালে ধরাশায়ী করুক৷ এরকম এক পরিস্থিতি পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের জন্য দুঃস্বপ্নের মত৷ এই স্বার্থগুলো রক্ষা করতে তারা তালেবানকে কাজে লাগান৷ ইসলামাবাদ যতক্ষণ ধরে নেবে যে একটি শান্তি সম্মেলনে তার অবস্থান গুরুত্ব পাবেনা, ততক্ষণ তালেবান তার কাছে তুরুপের তাস৷

এরকম প্রচণ্ড উত্তেজনার অবস্থায় আফগানিস্তান সম্মেলন ইসলামাবাদের জন্য আন্তর্জাতিক কূটনীতির তাসের টেবিলে নিজের চাল বাড়ানোর এক সুযোগ বৈ নয়৷ সম্মেলন থেকে দূরে থেকে পশ্চিমের দেশগুলোকে দেখিয়ে দেয়া যেতে পারে যে, পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে অথবা তার বিরুদ্ধে গিয়ে আফগানিস্তানে স্থায়ী শান্তি দেখা দিতে পারেনা৷ পাকিস্তান এটাই স্পষ্ট করে তুলতে চায় যে পাকিস্তানের গোয়েন্দা দপ্তর ইচ্ছে করলে তালেবানকে আলোচনার টেবিলে হাজির করতে পারে, আবার তাকে ছেড়ে রাখতে পারে৷

এমুহূর্তে তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের কূটনৈতিক মহলকে সক্রিয় হতে হবে৷ পাকিস্তানের মনে এই প্রতীতি আনতে হবে যে, তার বৈধ স্বার্থগুলো বিবেচিত হবে৷ এর বেশি কিছু নয়৷ পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান আলাপ আলোচনায় শক্ত অবস্থান নেবে ঠিকই, তবে সুতোটা পুরোপুরি ছিঁড়ে ফেলবেনা৷ বলা বাহুল্য, দেশটি মার্কিন সামরিক ও আর্থিক সাহায্য এবং ইউরোপের উন্নয়ন সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল এবং এই নির্ভরতা দীর্ঘমেয়াদি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য