1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন সম্মেলনে উপস্থিতির জন্য ইসলামাবাদের প্রতি কাবুল ও বার্লিনের আহ্বান

৩০ নভেম্বর ২০১১

বন সম্মেলন বর্জনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তান ও জার্মানি৷ তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সেদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলেই শুধু পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে৷

https://p.dw.com/p/13Jkc
Zufahrtsschild zum Petersberg DW/ Karin Jäger CMS: 04.2011
২০০২ সালের ২রা ডিসেম্বর এই পেটাসব্যার্গ সম্মেলন কেন্দ্রেই হয়েছিল আফগানিস্তান বিষয়ক সম্মেলনছবি: DW

২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্যদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার কথা রয়েছে৷ সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷ তাই ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীর সামরিক সদস্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে আসলে সেদেশের পরিস্থিতি কী দাঁড়াতে পারে এবং সেক্ষেত্রে উদ্ভূত পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে - সেসব নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা জার্মানির উদ্যোগে আয়োজিত বন সম্মেলনে৷ নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সেই সম্মেলনে পাকিস্তানের উপস্থিতি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্ট সব মহল৷ কিন্তু গত সপ্তাহান্তের মার্কিন হামলায় ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ৷ তারা মঙ্গলবার বন সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দেয়৷ ফলে এই সম্মেলনের সফলতা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা৷

এই সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বয়ং আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ তবে কারজাই এর আহ্বানের ব্যাপারে বুধবার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি উত্তরে বলেছি যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার করা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, তা ন্যাটো করেছে৷ তাই আমি তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে বলেছি৷'' গিলানি আরো বলেন, ‘‘আমি তাঁকে বলেছি, সবকিছুর আগে আমাদের দেশ বাঁচাতে হবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য কাজ করতে হবে৷ আমরা যদি আপনার জন্য বন যাই, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? তাই কেউ আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না দিলে আমরা সেখানে যেতে পারি না৷'' তবে বিশ্লেষকরা গিলানির বক্তব্যকে কিছুটা ইতিবাচকভাবে দেখছেন৷ অনেকেই মনে করছেন, নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে আসন্ন আফগানিস্তান সম্মেলনে যোগ দিতে পারে পাকিস্তান৷

Unidentified advisers watch the beginning of the U.N. organized Talks on Afghanistan in the German government's Petersberg guest house in Koenigswinter near Bonn, on Tuesday, Nov. 27, 2001. With regional stability and billions in international aid at stake, Afghan factions opened the talks Tuesday on how to share power and secure peace once the Taliban are defeated. (AP Photo/Herbert Knosowski)
আফগানিস্তান বিষয়ে ২০০১ সালের বন সম্মেলনের একাংশছবি: AP

এদিকে, জার্মানির পক্ষ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানকে আবারও আসন্ন সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আন্ড্রেয়াস পেশকে বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তান বিষয়ক সম্মেলনকে সফল করার মধ্যে পাকিস্তানের নিজেরও স্বার্থ রয়েছে৷'' এছাড়া তিনি আরো জানান যে, ৫ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে উপস্থিত না হওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি পাকিস্তান৷ শেষ পর্যন্ত এই সম্মেলনে যেন পাকিস্তান অংশগ্রহণ করে সেব্যাপারে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে এবং অন্যান্য কূটনীতিকরা তাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন বলেও উল্লেখ করেন পেশকে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য