1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে আবার জমি সংক্রান্ত জটিলতা, জিন্দাল প্রকল্প অনিশ্চিত

৫ আগস্ট ২০১১

পশ্চিমবঙ্গের শালবনিতে জিন্দাল শিল্পগোষ্ঠীর ইস্পাত প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল জমি সংক্রান্ত জটিলতায়৷ রাজ্যের পৃথক জমি নীতির সমালোচনা করল টাটা শিল্পগোষ্ঠী৷

https://p.dw.com/p/12BsF
MUMBAI, JULY 02 (UNI):- Ratan Tata, Chairman, Tata Group addressing Annual General Meeting 2009-10 of TCS, in Mumbai on Friday.(With story: BC).UNI PHOTO-84u
রতন টাটাছবি: UNI

বামফ্রন্টের আমলে শালবনিতে জিন্দাল শিল্পগোষ্ঠীর যে ইস্পাত প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল, তাও সম্ভবত আটকে যাচ্ছে জমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতায়৷ যদিও শালবনীতে ইস্পাত কারখানার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এর আগে কোনও সমস্যা হয়নি, যেরকমটা হুগলির সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো গাড়ির কারখানার ক্ষেত্রে হয়েছিল৷ কিন্তু শুক্রবার জিন্দল গোষ্ঠীর কর্তাদের মহাকরণে ডেকে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, জমির মালিকানা সংক্রান্ত সমস্যার নিষ্পত্তি করে তবেই কারখানা গড়ার দিকে এগোতে হবে৷ শিল্পমন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নিয়ম রয়েছে, তা মেনেই জিন্দলদের মালিকানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে৷ রাজ্যের ভূমি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে সেটা করার পরই পরবর্তী পর্যায়ে ওরা কারখানা গড়তে পারবেন৷

শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর জিন্দল গোষ্ঠীর কর্তারা জানিয়েছেন, অনুমতি পেলে তাঁরা পুজোর পরই কাজ শুরু করতে চান৷ কিন্তু জমি-বিতর্ক না মিটলে কী হবে কিছু বলা যাচ্ছে না৷

এদিকে এদিনই কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে টাটা ইস্পাত গোষ্ঠী রাজ্য সরকারের নতুন জমি নীতির সমালোচনা করেছে৷ ওদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকারের জমিনীতি নিয়ে শিল্পমহলের কোনও আপত্তি নেই৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেভাবে নিজেদের আলাদা জমিনীতি চালু করতে চাইছে, তাতে সমস্যা হবে৷ টাটা ইস্পাতের এক মুখপাত্র বলেন, রাজ্য সরকারের কাছেই যখন জমির সব কাগজপত্র, তখন ওরা যদি বলেন মধ্যস্থতার দায়িত্ব নেবে না, তাহলে কী করে চলবে৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার শিল্প-বিনিয়োগে উৎসাহী হলেও এ ধরনের সমস্যা যে শিল্প মহলকে আদৌ স্বস্তি দিচ্ছে না, তা এদিন জিন্দল এবং টাটা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের শরীরr ভাষাতেই ছিল স্পষ্ট৷ সরকার যে কিছুতেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না, এটাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন ওরা৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য