1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

দুশ্চিন্তা সত্ত্বেও আশার আলো দেখাচ্ছেন জেলেনস্কি

২০ ডিসেম্বর ২০২৩

সামরিক সাফল্যের অভাব ও পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তার উল্লেখ করেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখনো ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন৷ তবে যুদ্ধের অবসান সম্পর্কে তিনিও কিছু বলতে পারছেন না৷

https://p.dw.com/p/4aNKK
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে জেলেনস্কি
পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তার উল্লেখ করেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখনো ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন৷ ছবি: Yuri Gripas/UPI Photo/IMAGO

প্রায় দুই বছর ধরে রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেন যে সমস্যার মুখে পড়েছে, প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন৷ তিনি স্বীকার করলেন যে, যুদ্ধ বন্ধ হবার কোনো লক্ষণ এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না৷ রুশ হানাদার বাহিনীকে দেশছাড়া করতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কনস্ক্রিপশনের মাধ্যমে আরো পাঁচ লাখ সৈন্য নিয়োগের অনুরোধ করলেও জেলেনস্কি আপাতত সেই পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন৷

যুদ্ধক্ষেত্রে তেমন সাফল্যের মুখ না দেখলেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রুশ বাহিনীকে আর অন্তত অগ্রসর হতে দেয়নি৷ পশ্চিমা বিশ্ব থেকে বিশাল সামরিক ও আর্থিক সহায়তা সেই প্রতিরোধ অনেকটাই সম্ভব করেছে বলে সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷ কিন্তু অ্যামেরিকা ও ইউরোপ আরো কতকাল এমন সহায়তা দিয়ে যাবে, সে বিষয়ে সংশয় বাড়ছে৷ জেলেনস্কি স্বয়ং ওয়াশিংটনে গিয়ে ৬,০০০ কোটি ডলার অঙ্কের প্রস্তাবিত মার্কিন সহায়তা সম্পর্কে সংসদের আপত্তি দূর করতে পারেননি৷ হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় ৫,০০০ কোটি ইউরো অংকের সহায়তাও আপাতত আটকে রয়েছে৷ জেলেনস্কি হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ওরবানের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর আপত্তি দূর করার চেষ্টা করতে চান৷ মার্কিন কংগ্রেসও শেষ পর্যন্ত আপত্তি তুলে নেবে বলে তিনি আশা করছেন৷

সামরিক সাফল্যে ও বিদেশের সমর্থনের অভাবের কারণে জেলেনস্কির নেতৃত্ব নিয়েও ইউক্রেনে প্রশ্ন উঠছে৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী তাঁর প্রতি জনগণের সমর্থন কমে চলেছে৷ এক বছর আগে প্রায় ৮৪ শতাংশ জেলেনস্কির প্রতি আস্থা দেখালেও বর্তমানে সেই মাত্রা ৬২ শতাংশে কমে এসেছে৷

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন মঙ্গলবারই ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার করেন৷ প্রতিরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতি সমাজের সমর্থনেরও দাবি করেন৷ আগামী মার্চ মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেই সমর্থনের প্রতিফলন সম্পর্কেও তিনি নিশ্চিত৷ পুটিন পশ্চিমা বিশ্বকে বর্তমান সংকটের জন্য আবার দায়ী করেন৷ রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বেড়ে চলা ক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন৷ তবে তিনি আরো ড্রোন, আরো উন্নত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং আধুনিক স্যাটেলাইট যোগাযোগ প্রণালীর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করেন৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু আগামী বছর আরো আড়াই লাখ স্বেচ্ছাসেবী সৈন্য নিয়োগের ঘোষণা করেন৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য