1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমা সহায়তা নিয়ে উদ্বেগের মুখে জেলেনস্কি

৭ ডিসেম্বর ২০২৩

জি-সেভেন শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্য বজায় রাখার আবেদন জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷ মার্কিন সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন বাইডেন৷

https://p.dw.com/p/4ZrnT
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷
জি-সেভেন শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্য বজায় রাখার আবেদন জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি৷ছবি: AFP/Getty Images

অভ্যন্তরীণ সংকটের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্য কোনো দেশের জন্য সহজে আর্থিক সহায়তা দিতে পারছে না৷ মার্কিন কংগ্রেসে বিরোধী রিপাব্লিকান দল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যাবতীয় উদ্যোগ বানচাল করার চেষ্টা করছে৷ ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য বিপুল আর্থিক সহায়তার প্যাকেজও তাই থমকে গেছে৷ ইউরোপের প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানির বাজেট সংকটের ফলেও ব্যয় সংকোচের নানা উদ্যোগ চলছে৷ ফলে ইউক্রেনের জন্য ইউরোপের সহায়তার ভবিষ্যতও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে৷ এই দুই প্রধান শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া ইউক্রেনের পক্ষে রাশিয়ার লাগাতার হামলার মুখে প্রতিরোধ বজায় রাখা আদৌ সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে সংশয় বাড়ছে৷ শেষ পর্যন্ত দুই শক্তি সহায়তা মঞ্জুর করলেও বিলম্বের কারণে ইউক্রেন বিপদে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

এমনই এক প্রেক্ষাপটে জি-সেভেন শিল্পোন্নত গোষ্ঠীর শীর্ষ বৈঠকে পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি৷ তিনি বলেন, রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে চাপ বাড়িয়ে চলেছে এবং আগামী বছর পশ্চিমা বিশ্বের ঐক্য ভাঙার আশায় অপেক্ষা করছে৷ জেলেনস্কির মতে, পশ্চিমা বিশ্বকে প্রেরণার লড়াইয়ে জিততেই হবে৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, চলমান সংঘাত শুধু ইউক্রেন নয়, ইউরোপের পরিণতিও নির্ধারণ করবে৷ জি-সেভেন শীর্ষ নেতারা অবশ্য এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেন৷ রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াতে সে দেশ থেকে হীরা ও পেট্রোলিয়াম রপ্তানি সীমিত করার উদ্যোগ নিতে চান তারা৷

জেলেনস্কি ইউরোপীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যকরার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি পালন করার আবেদন জানান৷ আগামী সপ্তাহে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবার কথা৷ ইইউ কমিশন নভেম্বর মাসে সেই উদ্যোগের পক্ষে সমর্থন জানালেও ২৭টি সদস্য দেশকে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ মূলত হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে ইউক্রেন সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিরোধী রিপাব্লিকান দলের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের প্রতি সহায়তার পথে বাধা দূর করার আর্জি জানিয়েছেন৷ তিনি তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে রাশিয়ার জয় হলে মস্কো ন্যাটোর সদস্যদের উপরেও হামলা চালানোর সাহস পাবে৷ সে ক্ষেত্রে মার্কিন সৈন্যরাও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে৷ বাইডেন বলেন, পুটিন এখানেই থামবে না৷ তখন অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার সৈন্যদের মধ্যে সরাসরি সংঘাত ঘটবে৷ ফলে পুটিনকে জিততে দেওয়া যায় না, বলেন বাইডেন৷

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ঠা জেক সালাইভান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান তুলে ধরেন৷ তার মতে, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য ইউক্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি না করার নীতিতে বাইডেন অটল রয়েছেন৷ ইউক্রেন সে বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে৷ সে দেশকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যেতে মার্কিন প্রশাসন বদ্ধপরিকর৷ সালাইভানের মতে, ইউক্রেনের পাশ থেকে সরে যাওয়া অ্যামেরিকার জন্য ঐতিহাসিক ভুল হবে৷

এসবি/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)