1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা: বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

৯ এপ্রিল ২০১৯

লিবিয়ার এক সশস্ত্রগোষ্ঠীর নেতা খলিফা হাফতারের ত্রিপোলি দখলের অভিযানে এরই মধ্যে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন৷ ইতিমধ্যে রাজধানী ছেড়েছেন প্রায় চার হাজার লোক৷ জাতিসংঘ বলছে, আটকা পড়েছেন আরও কয়েক হাজার নিরীহ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/3GV6g
Libyen Mitglieder der National Army LNA in Bengasi
ছবি: Reuters/E. O. Al-Fetori

বিদ্রোহীগোষ্ঠীর হামলায় রাজধানীর একমাত্র বিমানবন্দরটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাগুলো৷

আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ তা সত্ত্বেও এখনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ত্রিপোলি সরকার ও দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখলে থাকা হাফতারের যোদ্ধাদের মধ্যে চলছে তীব্র লড়াই৷ গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে হাফতারের এই ত্রিপোলি দখল অভিযান৷

সহিংস এ পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান৷ বিবৃতিতে তিনি সহিংস পরিস্থিতি লাঘবে ও বড় ধরণের সহিংসতা এড়াতে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান৷

বিভক্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়!

আফ্রিকার তেলসমৃদ্ধ দেশ লিবিয়ায় এ মুহূর্তে ক্ষমতায় রয়েছে ফায়েজ-আল-সারাজ এর নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ সমর্থিত ‘গভনর্মেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড'৷ লিবিয়া ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি৷ গত সপ্তাহে সরকারপন্থি ও হাফতারপন্থিদের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক নেতাই ফায়েজ-আল-সারাজকে সমর্থন দিয়ে আসছেন৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ উদ্ভূত পরিস্থিতর সমাধান খুঁজতে ফোনে ফায়েজ-আল-সারাজের সঙ্গে কথা বলেন৷ মাক্রোঁ এ সময় আল-সারাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে ত্রিপোলি সরকার৷ একই কথা বলছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রীও৷

এদিকে অবিলম্বে ‘অভিযান বন্ধে' হাফতারকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপোলিতে একপাক্ষিক এই সেনা অভিযান বেসামরিক নাগরিকদের জীবন হুমকির মুখে ফেলছে এবং সকল লিবীয়র উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিচ্ছে৷'' 

দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিশর, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাত সমর্থন দিয়ে আসছে হাফতারকে৷ চলমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রচ্ছন্ন সমর্থনও পাচ্ছেন হাফতার৷ অস্ত্রবিরতির জন্য হাফতারকে চাপ প্রয়োগের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রস্তাবে ভেটো দেয় দেশটি৷ কূটনৈতিক সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানায় হাফতারকে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানানোর বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে বাধা দিয়ে দুপক্ষকেই অস্ত্রবিরতিতে রাজি করাতে নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া৷

উল্লেখ্য, গত বছর ত্রিপোলির ফায়েজ আল-সারাজের সরকার, হাফতার ও অন্য বেশকিছু বিদ্রোহী পক্ষের মধ্যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা হয়৷ ২০১৯ সালের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচনে রাজি হয় সব পক্ষ৷

কিন্তু এবার হাফতার বলছেন, ত্রিপোলি সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতায় তিনি হতাশ৷ হাফতারের বিরুদ্ধে ‘চুক্তিভঙ্গের' অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত ত্রিপোলি সরকার৷

১৯৬৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে গাদ্দাফিকে সহায়তা করেছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা খলিফা হাফতার৷ কিন্তু পরবর্তীতে গাদ্দাফির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়৷ ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধে গাদ্দাফির সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাফতার ও তাঁর বাহিনী ছিল সামনের সারিতে৷

আরআর/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য