1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়ায় অস্ত্রবিরতির চেষ্টা ব্যর্থ, নিহত ২১

৮ এপ্রিল ২০১৯

লিবিয়ার এক সশস্ত্রগোষ্ঠীর নেতা খলিফা হাফতারের রাজধানী ত্রিপোলি দখলের অভিযানে এরই মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন৷ জাতিসংঘ অস্ত্রবিরতির চেষ্টা চালালেও তা একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3GRnL
Libyen: Ausschreitungen in Tripolis
ছবি: picture alliance/AP/M. Khalifa

আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য সাময়িক অস্ত্রবিরতিতে দুই পক্ষকে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল জাতিসংঘ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ত্রিপোলি সরকার ও দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখলে থাকা হাফতারের যোদ্ধাদের মধ্যে চলছে তীব্র লড়াই৷ গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে হাফতারের এই ত্রিপোলি দখল অভিযান৷

সবশেষ তথ্য

সরকারপন্থি ও হাফতারপন্থি যোদ্ধাদের লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন৷

যুদ্ধে আহত আবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য অন্তত দুই ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷

‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা' করে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

বেসামরিক নাগরিকরা ‘হুমকিতে'

হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি- এলএনএ'র মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি জানান, ‘‘অভিযানে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছে বিমানবাহিনী৷ বিমানবন্দর থেকে শহরে প্রবেশের সড়ক এরই মধ্যে দখলে নেয়া হয়েছে৷''

অন্যদিকে, সরকারি বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মোহামেদ নোউনোউ জানিয়েছেন, তাঁদের অভিযানের লক্ষ্য পুরো লিবিয়াকে ‘অবৈধ দখলদারদের  হাত থেকে মুক্ত করা'৷

অবিলম্বে ‘অভিযান বন্ধে' হাফতারকে আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও৷ তিনি বলেন, ‘‘ত্রিপোলিতে একপাক্ষিক এই সেনা অভিযান বেসামরিক নাগরিকদের জীবন হুমকির মুখে ফেলছে এবং সকল লিবিয়ানের উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিচ্ছে৷''

২০১১ সালে গাদ্দাফির সরকার বিরোধীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন শুরু করেন৷ তখন থেকেই অস্থিতিশীল লিবিয়ার পরিস্থিতি৷ ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহীরা শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে এবং গাদ্দাফিকে হত্যা করে৷ কিন্তু তখন থেকে ত্রিপোলির ক্ষমতার লড়াইয়ে রয়েছে বিভিন্ন বিবদমান পক্ষ৷

গত বছর ত্রিপোলির ফায়েজ আল-সারাজের সরকার, হাফতার ও অন্য বেশকিছু বিদ্রোহী পক্ষের মধ্যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা হয়৷ ২০১৯ সালের শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচনে রাজি হয় সব পক্ষ৷

কিন্তু এবার হাফতার বলছেন, ত্রিপোলি সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতায় তিনি হতাশ৷ এদিকে, হাফতারের বিরুদ্ধে ‘চুক্তিভঙ্গের' অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ-সমর্থিত ত্রিপোলি সরকার৷

১৯৬৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে গাদ্দাফিকে সহায়তা করেছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা খলিফা হাফতার৷ কিন্তু পরবর্তীতে গাদ্দাফির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়৷ ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধে গাদ্দাফির সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাফতার ও তাঁর বাহিনী ছিল সামনের সারিতে৷

এডিকে/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)