1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার গড়ার আশা বাড়াচ্ছে ‘স্পিড ডেটিং’

৪ অক্টোবর ২০২১

সপ্তাহান্তে জার্মানির সম্ভাব্য জোট সরকারের সব শরিকদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সরকার গড়ার লক্ষ্যে জোরালো তৎপরতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে৷ এসপিডি দল এবার ত্রিপাক্ষিক আলোচনার জন্যও প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/41DxL
জার্মানিতে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে কয়েক মাসছবি: UWE LEIN/AFP/Getty Images

জার্মানিতে গতবারের সংসদ নির্বাচনের পর জোট সরকার গড়তে প্রায় ছয় মাস সময় লেগে গিয়েছিল৷ ফেডারেল সরকারের মাত্র চার বছরের কার্যকালের পরিপ্রেক্ষিতে এমন বিলম্ব অনেকের কাছে দৃষ্টিকটু লেগেছিল৷ এবারের নির্বাচনের পর ‘সময় নষ্ট' করার সেই অপবাদ বহন করতে চাইছে না কোনো পক্ষ৷ তাই নির্বাচনের এক সপ্তাহের মধ্যেই আগামী সরকারের সব সম্ভাব্য শরিকরাই জোরকদমে পরস্পরের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা চালিয়ে প্রক্রিয়াটি দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা চলছে৷ সেইসঙ্গে তিন দলের জোট সরকারে শামিল হওয়ার লক্ষ্যে আদর্শগত গোঁড়ামি ছেড়ে বাস্তববাদী মনোভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন দলের নেতারা৷ প্রাথমিক আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটে তারা পরিণত বুদ্ধির পরিচয় দিচ্ছেন৷ সপ্তাহান্তে দলীয় নেতাদের এমন ‘স্পিড ডেটিং' সেই জোরালো তৎপরতা আরও স্পষ্ট করে দিলো৷ এমনকি রোববার জার্মানির জাতীয় দিবসেও সেই ব্যস্ততা কমে নি৷ বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল দেশের স্বার্থে আপোশের মাধ্যমে জোট সরকার গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

আপাতত সরকারের নেতৃত্ব দেবার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল৷ নির্বাচন জয়ের পর সব জনমত সমীক্ষায় দলের নেতা ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে আগামী সরকার গঠনের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছেন জার্মানির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ৷ সপ্তাহান্তে আলাদা করে পরিবেশবাদী সবুজ দল ও উদারপন্থি এফডিপি দলের সঙ্গে আলোচনা করে এসপিডি দলের সাধারণ সম্পাদক লার্স ক্লিংবাইল সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, এবার তারা এই দুই দলের সঙ্গে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত৷

অন্যদিকে ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে৷ দ্বিতীয় স্থান পেয়ে সরকারের নেতৃত্ব দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও অন্তর্কলহ ও নেতা হিসেবে আর্মিন লাশেটের বিরুদ্ধে লাগাতার সমালোচনার প্রেক্ষাপটে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে৷ এফডিপি দলের নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার তার সবচেয়ে পছন্দের এই জোটসঙ্গীর বেহাল অবস্থা দেখে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ইউনিয়ন শিবির আদৌ সরকারের নেতৃত্ব দেবার অবস্থায় আছে কিনা, সবার আগে তাদের সেটা খোলসা করে বলতে হবে৷

‘কিংমেকার' হিসেবে এফডিপি দল ইউনিয়ন শিবির এবং সবুজ দল এসপিডির নেতৃত্বে সরকার সরকার চাইলেও তারা কোনো পথ আপাতত বন্ধ করছে না৷ নিজেদের মধ্যে প্রাথমিক বোঝাপড়ার পর এই দুই দল চালকের আসনে শেষ পর্যন্ত কাকে বসাতে চায়, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ তবে জার্মানির স্বার্থে তারা অতীতের জড়তা ঝেড়ে ফলে ডিজিটালাইজেশন ও পরিবেশ সংরক্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্রুত অগ্রগতির লক্ষ্যে এক কার্যকর জোট  সরকার গড়ার উপর জোর দিচ্ছে৷

কোনো কারণে জোটের নেতৃত্ব সম্পর্কে পারস্পরিক ঐকমত্য সম্ভব না হলে তার পরিণাম কী হতে পারে, এফডিপি ও সবুজ দল তা হাড়ে হাড়ে জানে৷ গত নির্বাচনের পর ম্যার্কেলের সঙ্গে তাদের আলোচনা বিফল হবার পর ইউনিয়ন শিবির ও এসপিডি দলের মহাজোট সরকার গঠিত হয়েছিল৷ কোনো পক্ষই আবার সেই কষ্টকর অভিজ্ঞতা না চাইলেও শেষ বিকল্প হিসেবে শলৎসের নেতৃত্বে আবার এক মহাজোট সরকার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ফলে এফডিপি ও সবুজ দল এবার সরকারের শরিক হতে বদ্ধপরিকর৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)