1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির মানুষ জামাইকা নয়, ট্রাফিক লাইট জোট চান

১ অক্টোবর ২০২১

জার্মানিতে সংসদ নির্বাচনের পর জোট সরকার গড়ার লক্ষ্যে তৎপরতার মাঝে জনমত সমীক্ষায় এসপিডি দলের নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন বাড়ছে৷ নির্বাচনে হেরেও ইউনিয়ন শিবিরের লড়াকু মনোভাব ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/417v8
BTW 2021 | Deutschland vor der Wahl | Plakate der Kandidaten
ছবি: John Macdougall/Getty Images/AFP

জার্মানির আগামী জোট সরকারে যে পরিবেশবাদী সবুজ দল ও উদাপপন্থি এফডিপি দল অন্তর্গত হবে, অংকের বিচারে তা প্রায় নিশ্চিত বলা চলে, যাদের দলীয় রং যথাক্রমে সবুজ ও হলুদ৷ এই দুই দলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আপাতত সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ কিন্তু নতুন জোট সরকারের চালকের আসনে শেষ পর্যন্ত কোন দল বসতে পারবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট দিশা দেখা যাচ্ছে না৷ সংসদে আসনের বিচারে সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের সবার আগে সেই সুযোগ পাওয়া উচিত৷ সে ক্ষেত্রে জার্মানির আগামী জোট সরকারের রং হওয়া উচিত লাল-হলুদ-সবুজ, অর্থাৎ ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশন৷

কিন্তু নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিপর্যয় সত্ত্বেও সরকার গড়ার আশা ছাড়ছে না বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির, যাদের রাজনৈতিক রং কালো৷ এফডিপি ও সবুজ দলও সেই রক্ষণশীল শিবিরের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় বসছে৷ ফলে কালো-হলুদ-সবুজ জোটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, যা ক্যারিবীয় অঞ্চলের রাষ্ট্র জামাইকার পতাকার মতো৷

শুক্রবার প্রকাশিত এক জনমন সমীক্ষা অনুযায়ী জার্মানির মানুষ এসপিডি নেতা ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে ট্রাফিক লাইট কোয়ালিশনকে ক্ষমতায় দেখতে চান৷ ৫১ শতাংশ এই জোটের পক্ষে রায় দিয়েছেন৷

দুই তৃতীয়াংশ মানুষ শলৎসকে চ্যান্সেলর হিসেবে দেখতে চান৷ মাত্র ১৮ শতাংশ ইউনিয়ন শিবিরকে আগামী সরকারের নেতৃত্বে দেখতে চান৷ ২৪ শতাংশ দুইয়ের মধ্যে কোনোটাই চান না৷ নির্বাচনের পর অন্যান্য সমীক্ষায়ও সেই একই প্রবণতা দেখা গেছে৷

প্রশ্ন হলো, বাস্তবেও কি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা যাবে? ‘কিংমেকার' হিসেবে সবুজ ও এফডিপি দলের হাতেই আপাতত আগামী জোটের চাবিকাঠি রয়েছে৷ তাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া সম্ভব না হলে সব হিসেব ওলটপালট হয়ে যাবে৷ আর সেই অসাধ্যসাধন করতে পারলে আগামী জোট সরকারের প্রধান দলকে এই দুই দলের অনেক দাবি মেনে নিতে হবে৷ আগামী সপ্তাহে শুক্রবার দুই দলের মধ্যে আগামী বৈঠকের পর সেই চিত্র আরও স্পষ্ট হবার কথা৷

ইউনিয়ন শিবিরের মধ্যে বেড়ে চলা বিবাদ ও বিতর্কের ফলে শেষ পর্যন্ত আগামী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া আদৌ সম্ভব হবে কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে৷ এমনকি সেটা সম্ভব হলেও  চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী হিসেবে আরমিন লাশেটের বদলে অন্য কোনো নেতা চ্যান্সেলর হতে পারেন, এমন জল্পনাকল্পনা জোরালো হচ্ছে৷ সবুজ দল ও এফডিপির সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগকে কেন্দ্র করে শিবিরের দুই দলের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে উঠে আসছে৷ বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের নেতা সিডিইউ দলের বিরুদ্ধে বার বার সোচ্চার হয়ে ওঠায় ঐক্যে ফাটল ধরছে৷ সিডিইউ দলের মধ্যেও কোন্দল বেড়ে চলছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)