1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান মুখ্যমন্ত্রীকে এক শিক্ষার্থীর ‘হুমকি'

২৪ এপ্রিল ২০২০

করোনার কারণে কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য় নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়াসহ কয়েকটি রাজ্যে বৃহস্পতিবার থেকে স্কুল শুরু হয়েছে৷ তবে প্রথমে শুধুমাত্র শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে বলা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3bM9V
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Strauch

এদিকে, জার্মানির কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ৪ মে থেকে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু করে ক্রমান্বয়ে সব রাজ্যের স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের ১৫ বছর বয়সি শিক্ষার্থী এলেয়া মারশোলেক রাজ্য সরকারের স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে ‘দারুণ ক্ষুব্ধ'৷ এজন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেটকে ইনস্টাগ্রামে তিনি একটি বার্তা পাঠিয়েছেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷ বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা হলাম ভবিষ্যতের ভোটার৷ আর যারা আমাদের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেন না. তাদের আমরা ভুলে যাবো না৷’’

ডয়চে ভেলেকে মারশোলেক বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরীক্ষা করতে চাইছেন৷ কিন্তু আমরা গিনিপিগ নই৷’’

মারশোলেক শুধু তাকে নিয়ে চিন্তিত নন৷ তার চিন্তা, তার মাধ্যমে তার ভাই আক্রান্ত হতে পারে৷ সেই ভাই আবার বয়স্কদের সেবা দেয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷ ‘‘আমি যদি স্কুল থেকে ভাইরাস নিয়ে আসি, আর সে (ভাই) যদি কোনো বয়স্ক মানুষের বাড়িতে সেটা নিয়ে যায়, তাহলে খুব খারাপ হবে,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন মারশোলেক৷

স্কুল খোলার শর্ত হিসেবে সরকার শিক্ষার্থীদের ডেস্ক দেড় মিটার দূরে বসানোর পরামর্শ দিয়েছে৷ এছাড়া হাত ধোয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ও যথেষ্ট পরিমাণ জীবাণুনাশক রাখতে বলা হয়েছে৷

তবে বাস্তবে এসব মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এক শিক্ষার্থীর মা সুজানে হাওসার৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি আমার মেয়ের স্কুলের টয়লেট কীরকম৷ সে যতটা সম্ভব ওটা ব্যবহার থেকে বিরত থাকে৷’’ সুজানে হাওসারের বয়স ৫৩ এবং হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থাকার কারণে তিনি করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন৷

অবশ্য স্কুলে যাওয়া, না যাওয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীরা নিতে পারবে বলে জানিয়েছে নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য৷ তারপরও এমন সিদ্ধান্তে বিরক্ত সুজানে হাওসার৷ তিনি বলছেন, তাঁর মেয়েকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ ‘‘একদিকে সে কিছু মিস করতে চায় না, অন্যদিকে একজন অভিভাবক হারানোর বিনিময়ে সার্টিফিকেট পাওয়ার কী মানে,’’ বলছেন সুজানে হাওসার৷

তাঁর মতো অনেক অভিভাবক রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে অবাক ও উদ্বিগ্ন হয়েছেন৷ এমন অভিভাবকদের কাছ থেকে অনেক টেলিফোন পাওয়ার কথা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন রাল্ফ রাডকে৷ তিনি নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের অভিভাবকদের সংগঠনের নেতা৷

এই অবস্থায় কয়েকজন শিক্ষার্থী স্কুল বয়কটের আহ্বান জানিয়ে অনলাইনে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে৷ ইতিমধ্যে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশ নিয়েছে৷ অনেকে বলছেন, কোর্সওয়ার্কের ভিত্তিতে তাদের সার্টিফিকেট দেয়া হোক৷ আর যে শিক্ষার্থীরা মার্ক ভালো করতে চায় তারা স্কুলে যেতে পারে৷ 

নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা জার্মান রাজ্যগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ৷ মারা গেছেন এক হাজার জনের বেশি৷ 

করোনায় জার্মানিতে এখন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজার জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷

নিকোলাস মার্টিন/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য