1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলদস্যুর কবল থেকে ১৯ পাকিস্তানিকে উদ্ধার ভারতের

৩১ জানুয়ারি ২০২৪

সোমালি জলদস্যুরা ইরানের একটি মাছ ধরার জাহাজে আক্রমণ করেছিল। ভারতীয় নৌবাহিনী গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে।

https://p.dw.com/p/4br5N
ইরানের মাছ ধরার জাহাজে উঠছেন ভারতীয় কম্যান্ডোরা।
ইরানের এই মাছ ধরার নৌকায় সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ১৯ পকিস্তানি কর্মীকে উদ্ধার করেছে ভারতের নৌবাহিনী। ছবি: Indian Navy/AFP

ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুমিত্রা ইরানের মাছ ধরার নৌকা আল-নয়িমি থেকে ১৯ জন পাকিস্তানিকে নিরাপদে মুক্ত করতে পেরেছে।

তিনি জানিয়েছেন, ১১ জন সোমালি জলদস্যু ওই জাহাজের কর্মীদের পণবন্দি করেছিল।

নৌবাহিনী যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সোমালি জলদস্যুরা একে ৪৭ হাতে নৌকায় দাঁড়িয়ে আছে, আর তাদের মাথার উপর উড়ছে নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার।

এরপর যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে কম্য়ান্ডোরা সেই মাছ ঝরার নৌকায় উঠেছে। তারা রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। একদল জলদস্যু মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে। তাদের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা আছে।

গত সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে। সোমালি তটভূমির কাছে ভারতের কচ্ছ থেকে ৮৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারতীয় নৌবাহিনী এই উদ্ধারকাজ করেছে।

এর ৩৬ ঘণ্টা আগে ভারত জানিয়েছিল, সোমালি জলদস্যুরা ইরানের আরেকটি মাছ ধরার নৌকাকে অপহরণ করেছিল। সেখান থেকে ১৭ জন কর্মীকে মুক্ত করে নৌবাহিনী।

ওই নৌকাটি তিনদিন আগে সোমালি জলদস্যুরা অধিকার করেছিল।

জলদস্যুরা যেভাবে মাছ ধরার নৌকায় হামলা চালাচ্ছে ও কর্মীদের বন্দি করে মুক্তিপণ দাবি করছে, তা রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমালি জলদস্যু ছাড়াও হুতি বিদ্রোহীরাও বিভিন্ন জাহাজের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। তবে হুতিরা আক্রমণ করছে রেড সি বা লোহিত সাগর ও গালফ অফ এডেনে।

সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা ২০১১ সালে তুঙ্গে ওঠে। তারা সোমালি তটভূমি থেকে তিন হাজার ৬৫৫ কিলোমিটার দূরে গিয়েও আক্রমণ করেছে।

২০০৮ সাল থেকেই  ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালি জলদস্যুদের মোকবিলা করছে। তবে গত ডিসেম্বরে ভারতীয় নৌবাহিনীর তৎপরতা আরো বেড়েছে। নৌবাহিনী এই কাজে একটি যুদ্ধবিমান ও তিনটি মিসাইল গাইডেড ডেস্ট্রয়ার ব্যবহার করছে।

জিএইচ/এসজি(এএফপি)