ছাত্র হত্যাকাণ্ড
১৪ জানুয়ারি ২০১৩সে রাতের ঘটনায় বেঁচে থাকা একমাত্র ছাত্র আল আমিন এবং তারা পরিবারের সদস্যরা ডয়চে ভেলের কাছে অভিযোগ করেছেন, মূল হোতারা এখনো অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে৷
২০১১ সালের ১৮ই জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিন বাজারের বড়দেশি গ্রামে পিটিয়ে হত্যা করা ছয় স্কুল ছাত্রকে৷ মাদক ব্যবসায়ীরা ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার পর তারা তাদের ডাকাত বলে প্রচার চালায়৷ এতে তাদের সহযোগিতা করে পুলিশ৷ আহত অবস্থায় বেঁচে থাকা একমাত্র ছাত্র আল আমিনকে আসামি করে তখন ডাকাতির মামলাও দায়ের করা হয়৷ কিন্তু ব়্যাবের তদন্তে প্রমাণ হয়েছে ডাকাতির মামলা মিথ্যা৷ উদ্দেশ্যমূলকভাবে আব্দুল মালেক নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে দিয়ে ওই মামলা দায়ের করা হয়৷ ব়্যাবের তদন্ত রিপোর্টে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং মালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপনকারী আইনজীবী আরোয়ারুল কবির বাবুল৷
ওই ঘটনার পর একটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়৷ ৬ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মোট ৬০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷
কিন্তু এই ৬০ জনের মধ্য কারাগারে আটক আছে মাত্র ১০ জন৷৩৬ জন পলাতক এবং ১৪ জন জামিনে আছে৷
এদিকে, বেঁচে থাকা একমাত্র ছাত্র আল আমিন এবং তার বাবা-মা ডয়চে ভেলেকে জানান মূল হোতারা এখনো গ্রেফতার হয়নি৷ তারা এখনো হুমকি দিচ্ছে৷ আর পুলিশ ছিল মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী৷ কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখনো নেয়া হয়নি৷
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর প্রথমে সাভার থানা পুলিশ এবং পরে সিআইডি তদন্ত করে৷ কিন্তু তারা অপরাধীদের আড়াল করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন৷ শেষ পর্যন্ত ব়্যাবের তদন্তে অপরাধীরা চিহ্নিত হল৷