1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সরকারের নির্দেশে হত্যা’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৭ জানুয়ারি ২০১৩

বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মজুমদারের লাশ ঢাকায় এনে দাফন করা হয়েছে৷ শনিবার রাতে পুলিশ লেখা হাতকড়ায় দু’হাত বাঁধা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয় কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকা থেকে৷ সরকার এর সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ৷

https://p.dw.com/p/17FJ3
Macro shot of silver bullet caught in flight #32428692 © Scanrail - Fotolia.com
ছবি: Fotolia/Scanrail

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী এখনও ফিরে আসেন নি৷ ফিরে আসেন নি আরেক বিএনপি নেতা চৌধুরী মোহাম্মদ আলম৷ আর সর্বশেষ ঢাকা ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মজুমদারের লাশ পাওয়া গেল কুষ্টিয়ায়৷ তিনি ঝিনাইদহের শেলকুপা এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন৷ শনিবার সেখান থেকে ব়্যাবের পোশাক পরা সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান৷ এরপর রাতেই তাঁর লাশ পাওয়া যায় ২০ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী এলাকায়৷ লাশের দু'হাতে পুলিশ লেখা হ্যান্ডকাফ বা হাতকড়া ছিল৷

Bangladeshi elite force Rapid Action battalion (RAB) members stand guard in front of the Bangladesh Nationalist Party office during a nationwide strike in Dhaka on January 6, 2013. Anti-government protesters set fire to cars and buses during the opposition alliance's day-long countrywide shutdown strike protesting the latest hike in fuel oil prices. AFP PHOTO/ Munir uz ZAMAN (Photo credit should read MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images)
ব়্যাবের দিকে অভিযোগের আঙুলছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images

সোমবার তাঁর লাশ ঢাকা নিয়ে আসা হয়েছে৷ লাশের জানাজা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা৷ সেখানে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম দাবি করেন, সরকারের নির্দেশেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে৷ তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি'র অনেক নেতা-কর্মীদের খুন বা গুমের ধারাবাহিকতায়ই রফিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে৷

বিএনপি'র আরেক সিনিয়র নেতা এমকে আনোয়ার বলেন, সরকার যদি দাবি করে যে ব়্যাব তাঁকে হত্যা করেনি, তাহলে সরকারকেই তা প্রমাণ করতে হবে৷ তিনি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব খুন-গুম আর অপহরণের বিচার হবে৷

এদিকে, সরকারের দিক থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্ত্রী বা সরকারি দলের কোনো নেতা কোনো বক্তব্য দেননি৷ তবে কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার মফিজুদ্দিন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে রফিকুল ইসলামের অপহরণের কোনো প্রমাণ তাঁরা এখনও পাননি৷ মামলার তদন্ত হচ্ছে৷ তদন্ত শেষ হলেই জানা যাবে কারা এই অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত৷ আর লাশের হাতে পুলিশের হাতকড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো বাইরেও সাধারণ মানুষের কাছে পাওয়া যায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য