1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘চীনা অতিথি স্বাগত নয়': জার্মান রেস্তোরাঁর শেফ 

১৫ মে ২০২০

জার্মানিতে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করা এক রাঁধুনি তাঁর রেস্তোরাঁয় কোনো চীনা অতিথি চান না বলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ ২০০৪ সালে ঐ শেফ ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পেয়েছিলেন৷

https://p.dw.com/p/3cG7H
Deutschland 40 Jahre Restaurant Im Schiffchen
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Kaiser

জার্মানির ড্যুসেলডর্ফ শহরে ‘ইম শিফশেন' রেস্তোরাঁয় ১৯৭৭ সাল থেকে কাজ করছেন জ্য-ক্লোদ বুর্গেই৷ করোনার কারণে কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে তা খুলেছে৷

এই খবর জানিয়ে নিজের ফেসবুক পাতায় একটি পোস্ট দিয়েছিলেন বুর্গেই৷ তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আমরা শুক্রবার খুলছি, তবে শুধু বিস্ত্রো খুলছে৷ কোনো চীনা স্বাগত নয়!!!''

এই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়৷ একজন লিখেছেন, ‘‘ইম শিফশেনের লজ্জা পাওয়া উচিত৷'' আরেকজন লিখেছেন, ‘‘বুর্গেই যা বলেছেন তা খুবই বিরক্তিকর৷ একজন ভীরু ও মিথ্যাবাদী৷''

চীনের উহানে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার কারণে জার্মানিসহ অনেক দেশেই এশীয়দের বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

সমালোচনা শুরু হওয়ার পর বুর্গেই ইম শিফশেন রেস্তোরাঁর ফেসবুক পাতায় তাঁর করা মন্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন৷  তিনি ‘অবিবেচকের মতো কথা' বলেছেন বলে স্বীকার করে নেন৷ তাঁর মন্তব্যটি ঠিকভাবে লেখা হয়নি বলেও দাবি করেন বুর্গেই৷ ‘চাইনিজ' বলতে তিনি চীনা নাগরিক বোঝাননি বলে জানান তিনি৷ এই শব্দ দিয়ে তিনি চীনের ‘একনায়ক' ও ‘স্ট্রংম্যান'দের বুঝিয়েছেন বলে দাবি করেন বুর্গেই৷ 

‘‘আমি ফরাসি বিপ্লবের একজন সন্তান৷ বিশ্বের একনায়কদের আমি ভালো চোখে দেখি না৷ একনায়কেরা তাদের নাগরিকদের উপর নিপীড়ন চালায় এবং মৃত্যু দিয়ে মানুষকে শাস্তি দেয়৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘নয়টি দেশের নাগরিক আমাদের রেস্তোরাঁয় কাজ করে৷ আমার স্ত্রী একজন এশীয় এবং আমি নিজে এই দেশে একজন বিদেশি৷

‘‘আমার বিরুদ্ধে অনেক ব্যাপারেই অভিযোগ আনা যেতে পারে, কিন্তু অবশ্যই বর্ণবাদের নয় এবং আমি এটি সমর্থন করি না৷''

বুর্গেইয়ের এই বক্তব্য প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫০০-র বেশি মন্তব্য পড়েছে৷

ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করা বুর্গেই ১৯৭০ সালে স্পেন থেকে জার্মানিতে আসেন৷ তাঁর লেখা দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে৷ ‘জার্মানিতে ফ্রান্সের রান্না বিষয়ক কূটনীতিক' হিসেবে ২০০৪ সালে তাঁকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘লিজিয়ন অফ অনার' দেয়া হয়৷


ডেভিস ফানঅপড্রোপ/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য