1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজমিয়ানমার

চার বিদেশি বন্দিকে মুক্তি দিল মিয়ানমার

১৭ নভেম্বর ২০২২

এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের কূটনীতিক, অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক পরামর্শদাতাও আছেন। সব মিলিয়ে ছয় হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4JdMb
মিয়ানমারে সেনা শাসন
ছবি: Santosh/AA/picture alliance

প্রায় ছয় হাজার বন্দিকে মুক্তি দিল মিয়ানমারের সেনা পরিচালিত সরকার। বলা হয়েছে, এদের সকলের দোষ মাফ করে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন বিদেশি নাগরিক আছেন বলে জানা গেছে। তার মধ্যে যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান, অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সিন টারনেল এবং জাপানের সাংবাদিক তথা চিত্র পরিচালক টোরু কুবতা আছেন। এছাড়াও এক মার্কিন বোটানিস্টকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালেই একথা ঘোষণা করেছে মিয়ানমার। তবে বন্দিদের ইতিমধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়ে গেছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

কেন হঠাৎ ছয় হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলো, তা-ও স্পষ্ট নয়। প্রায় দুইবছর হতে চলল মিয়ানমারের শাসন ক্ষমতা সেনার হাতে। গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত করে সেনা বিদ্রোহের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। জেলে পাঠানো হয়েছে অং সান সুচি থেকে শুরু করে অধিকাংশ প্রথম সারির রাজনীতিকদের। এই মুহূর্তে মিয়ানমারের জেলে প্রায় ১০ হাজার রাজনৈতিক বন্দি আছেন বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির বক্তব্য। সেনা বিদ্রোহের পর মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে একের পর এক আন্দোলন হয়েছে। সেনা সরকার তা কড়া হাতে দমন করেছে। আন্দোলনকারীদের দলে দলে জেলে ঢোকানো হয়েছে। জেলেও তাদের উপর নির্মম অত্যাচার চলেছে বলে অভিযোগ। বহু বন্দি হাঁটা-চলার ক্ষমতা হারিয়েছেন বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির দাবি। তারই মধ্যে থেকে এদিন ছয় হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামী কর্মীদের ‘হত্যা’ করা হয়েছে

বস্তুত, এই চার ব্যক্তি ছাড়াও মিয়ানমারের জেলে বেশ কিছু বিদেশি নাগরিক এখনো বন্দি বলে জানা গেছে। তার মধ্যে সাংবাদিকও আছেন। তাদেরও একইসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)