1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজাকে পাঁচ কোটি ইউরো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি জার্মানির

২০ অক্টোবর ২০২৩

বৃহস্পতিবার জর্ডান থেকে একথা জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার তিনি ইসরায়েল যাবেন।

https://p.dw.com/p/4XmMS
জর্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক।
জর্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক গাজাকে পাঁচ কোটি ইউরো দেয়ার কথা বলেছেন। ছবি: Ilia Yefimovich/dpa/picture alliance

ইসরায়েল-গাজা সংঘাত খতিয়ে দেখতে জার্মান সময় শুক্রবার সকালে ইসরায়েলে পৌঁছাবেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। বৃহস্পতিবার তিনি জর্ডানে পৌঁছান। সেখানে বৈঠকের পাশাপাশি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পাশে আছে জার্মানি। বার্লিন মনে করে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। ৭ অক্টোবর যে ঘটনার পর ইসরায়েল গাজার সঙ্গে সংঘাতে নেমেছে, তা সম্পূর্ণ সমর্থন করে জার্মানি। পাশাপাশি, গাজায় যে বেসামরিক মানুষ অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন, তাদেরও পাশে আছে জার্মানি। এজন্য গাজার বেসামরিক মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য হিসেবে পাঁচ কোটি  ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো। অতি দ্রুত যাতে তা গাজার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে তা দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বেয়ারবক জানিয়েছেন, গাজায় একটি চিকিৎসক দলও তারা পাঠানোর চেষ্টা করছেন। সবটাই নির্ভর করবে, সীমান্ত খোলার উপর। মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দেবে ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার জর্ডানে গেছেন বেয়ারবক। শুক্রবার সকালে তিনি ইসরায়েলে গিয়ে সেখানকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এদিন বিকেলেই তিনি লেবানন যাবেন। সেখানে গিয়েও এই সংঘাত নিয়ে আলোচনা করার কথা তার। উল্লেখ্য, লেবাননের হেজবোল্লাহ হামাসের সমর্থনে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে। সে বিষয়ে লেবাননের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার কথা বেয়ারবকের।

বেয়ারবক অবশ্য এদিনও একটি কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ইসরায়েল যেভাবে গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছে, জার্মানি তা সমর্থন করে। কারণ, জার্মানি মনে করে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। শুধু তা-ই নয়, জার্মানি কোনোভাবেই হামাসকে সমর্থন করে না, এ বিষয়টিও এদিন আরো একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন বেয়ারবক। বস্তুত, এর আগে ১৩ অক্টোবর ইসরায়েল গিয়েছিলেন তিনি। তখনো এই একই কথা বলেছিলেন তিনি।

এদিকে ইসরায়েল ঘুরে এসে কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে বলতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কংগ্রেসের সামনে তিনি ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করতে চান। কীভাবে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানো যায়, এই লড়াইয়ে কীভাবে দ্রুত ইসরায়েলকে জয়যুক্ত করা যায়, তা নিয়ে কথা বলতে চান বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টও ইসরায়েলকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন।

এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ। রাফাহ সীমান্ত দিয়ে তারাও গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠাতে চাইছে। চিকিৎসার সরঞ্জাম, খাবার পাঠানোর কথা জানিয়েছেন গাজায় অবস্থিত বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের  কর্মীরা। তাদের বক্তব্য, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করার সামগ্রীও তাদের কাছে নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল গাজা সীমান্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অন্তত রাফাহ সীমান্ত খোলার জন্য জাতিসংঘ ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা জারি রেখেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, দ্রুত ইসরায়েল তা খুলে দেবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)