1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

গাজা ভূখণ্ডের সর্বত্র লড়াই শুরু

৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডের সর্বত্র তারা হামাসের বিরুদ্ধে অপারেশন শুরু করেছে।

https://p.dw.com/p/4ZjZJ
রোববার দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা হয়।
দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার পরের ছবি। বিমান হামলার পরের ছবি। ছবি: Leo Correa/AP Photo/picture alliance

এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির পর শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের সেনা আবার অপারেশন শুরু করে দেয়। .তার আগে ইসরায়েলের সেনা মূলত গাজার উত্তরভাগেই অপারেশন চালিয়েছিল। কিন্তু এখন দক্ষিণ গাজাতেও বিমান হামলা করছে ইসরায়েল।

গাজার বেসামরিক মানুষের একটা বড় অংশ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দক্ষিণ গাজায় চলে গেছিলেন।

কিন্তু রোববার রাতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র হাগারি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনাও দক্ষিণ গাজায় গেছে। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সেনা হামাসের বিরুদ্ধে গ্রাউন্ড অপারেশনের পরিধি বাড়িয়েছে। তারা এখন গাজা ভূখণ্ডের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। তারা হামাসের মুখোমুখি হচ্ছে ও তাদের মারছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তাসংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সেনা দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহরের পূর্বদিকে গেছে।

১০ হাজার বার বিমান হামলা

ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, গত দুই মাসে গাজায় প্রায় ১০ হাজার বার বিমান হামলা করা হয়েছে।

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স(আইডিএফ) জানিয়েছে, হামাসের কম্যান্ড সেন্টার, টানেল ও অস্ত্রাগারে মূলত আঘাত করা হয়েছে। তবে এই দাবি এখনই স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এই ঘোষণা এসেছে, আন্তর্জাতিক স্তরে ইসরায়েলের সমালোচনা হওয়ার পর। ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর হামলায় প্রচুর বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলে অভিযোগ।

রোববার হামাসের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, গাজায় লড়াই শুরুর পর থেকে ১৫ হাজার ৫২৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৬ জন।

জাতিসংঘের হিসাব হলো, গাজার ২২ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

আইসিসি চায়

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট(আইসিসি) হামাস ও  ইসরায়েলের সেনা কোনো যুদ্ধাপরাধ করেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখতে চায়।

সম্প্রতি আইসিসি-র প্রসিকিউটার করিম খান ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে গেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ''গত ৭ অক্টোবর যেভাবে নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের উপর আক্রমণ হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। আইসিসি এই ধরনের অপরাধের মোকাবিলা করার জন্যই তৈরি হয়েছিল। আমরা এটা তদন্ত করে দেখতে চাই।''

তিনি জানিয়েছেন, গাজার মতো জনবহুল জায়গায় যেভাবে লড়াই হচ্ছে, সেটাও তারা তদন্ত করে দেখতে চান।

ইউক্রেন যুদ্ধের পর আইসিসি-র বিচারপতিরা তো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। 

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)