1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোলন জিম্মি কাণ্ডের ‘ক্লু' খুঁজছে জার্মান পুলিশ

১৬ অক্টোবর ২০১৮

কোলনের কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনে জিম্মিকাণ্ডের কারণ খুঁজতে বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷ কর্তৃপক্ষ বলছে, আহত অবস্থায় আটক ব্যক্তি সম্ভবত সিরীয় নাগরিক৷ তবে তার জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/36dhX
Deutschland Köln Untersuchungen nach Geiselnahme am Hauptbahnhof
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Becker

সোমবারের ঘটনার সূত্র ধরে মঙ্গলবার কোলনের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ৷ মূল হামলাকারী পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে, তবে গ্রেপ্তারের সময় তিনি গুরুতর আহত হন৷ সোমবার এক নারীকে জিম্মি করেছিলেন তিনি৷ এ বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা পুলিশকে জানানোর জন্য একটি ওয়েব ঠিকানাও প্রকাশ করা হয়েছে৷

যা ঘটেছিল:

- সোমবার দুপুরে এক ব্যক্তিকোলনের কেন্দ্রীয় ট্রেন স্টেশনে অবস্থিত ম্যাকডোনাল্ডস রেস্টুরেন্টে একটি মলটভ ককটেল নিক্ষেপ করেন৷ এতে তিনজন আহত হন, আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী ডয়চে ভেলেকে জানান, বিস্ফোরণের পর পায়ে আগুন ধরা অবস্থায় এক নারীকে দৌঁড়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে যেতে দেখা যায়৷

সেই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই কাছের এক ফার্মেসিতে এক নারীকে জিম্মি করেন সেই হামলাকারী৷ পুলিশ দ্রুতই সাড়া দেয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও জিম্মিকারীর সঙ্গে সমঝোতা করতে বিশেষ একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠায়৷আটক ব্যক্তি এক তিউনিশীয় নারীর মুক্তি দাবি করে বলে শোনা গেছে৷

জিম্মিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পুলিশ ফার্মেসিতে অভিযান চালায়৷ তার কাছে একটি পিস্তল ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ পুলিশের অভিযানের সময় গুলিতে গুরুতর আহত হন জিম্মিকারী৷ তবে জিম্মি করা নারী নিরাপদেই ঘটনাস্থল থেকে বের হতে সক্ষম হন৷

ঘটনার পর কোথাও কোনো বিস্ফোরক আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য পুরো ট্রেন স্টেশন অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ৷ সেসময় তারা ৫৫ বছর বয়সি এক সিরীয় নাগরিকের পরিচয়পত্র খুঁজে পান, যার ২০২১ সাল অবধি জার্মানিতে বসবাসের অনুমতি রয়েছে৷

সন্দেহভাজন কি বাঁচবেন?

পুলিশের অভিযান চলাকালে গুরুতর আহত হলেও তার বেঁচে থাকার ব্যাপারে আশাবাদী চিকিৎসকরা৷ মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রয়েছেন৷

সন্দেহভাজন কি একজন সন্ত্রাসী?

জার্মান কর্তৃপক্ষ এখন অবধি হামলাকারীর হামলার উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারেনি৷ কোলনের উপ-পুলিশ প্রধান মিরিয়াম ব্রাউনস বলেন, ‘‘তদন্তে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি আমরা বাদ দিচ্ছি না৷''

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, হামলাকারী নিজেকে ‘ইসলামিক স্টেটের' সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেছেন৷ তবে পুলিশ এই দাবি এখনো যাচাইয়ে সক্ষম হয়নি বলে জানিয়েছে৷

এখন তাহলে কী হবে?

পুলিশ বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে৷ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও ঘটনার কারণ এবং হামলাকারী সম্পর্কে আরো জানতে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন৷

এআই/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)