1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষককে প্রহার : গ্রেপ্তার ১, বিএনপি নেতাসহ বাকিরা ‘পলাতক'

২৬ জানুয়ারি ২০২৩

কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো.আব্দুল হাই সিদ্দিকীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে আসামি শনাক্ত করা হয়৷

https://p.dw.com/p/4Mi4D
ছবি: Marvin Recinos/AFP/Getty Images

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামি নূর মোহাম্মদ সাবিরি লিটনকে শনাক্ত করে পুলিশ৷ পরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রাম পুরাতন স্টেশন পাড়া এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকেগ্রেপ্তার করা হয়৷

নূর মোহাম্মদ সাবিরি লিটন কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভুয়াতিপাড়া এলাকার আব্দুর সাবের মিয়ার ছেলে৷

কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকীকে রোববার বেলা ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে মারধর করা হয়৷ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়৷

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক কুড়িগ্রাম সদর থানায় দলবদ্ধ হয়ে সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মচারীকে আঘাত ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করেন৷ মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সহছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং কুড়িগ্রাম জেলা শহরের মোল্লাপাড়ার ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজের ছেলে মো. মাসুদ রানা (৪৮), তার সহযোগী ফরিদুজ্জামান মণ্ডল রুমন মিয়া (৩৫), আমিনুল ইসলাম (৩৯) ও আলতাফুর রহমান বিদ্যুৎ (৪০) এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আর কয়েকজনকে আসামি করা হয়৷

এছাড়া ওই শিক্ষক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন বলেও জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. শাহরিয়ার৷

মামলার বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা৷

তিনি আরও জানান, কুড়িগ্রাম বিএনপির সহছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে তথ্য নিতে এসে এক পর্যায়ে শিক্ষক আব্দুল হাই সিদ্দিকীর উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করেন৷

ভর্তি বাতিল হওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হিসাবে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হকের কক্ষে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটান৷ এ সময় তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন৷

এ ঘটনার ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষক জিয়াসমিন আরা হক তার চেয়ারে বসে আছেন৷ তার উল্টো দিকে মাসুদ রানাসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আব্দুল হাই সিদ্দিকীর ওপর চড়াও হন৷ এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিতে থাকলে তিনি সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷

এ সময় একজন নারী শিক্ষক ও আরও কয়েকজন শিক্ষক মাসুদ রানাকে থামানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু তারপরও তিনি শিক্ষক আব্দুল হাইয়ের ওপর চড়াও হন এবং ধাক্কাতে থাকেন৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান